পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সূর্য্য-মণ্ডল
৪৭

কর্ম্মক্ষেত্রের নানা কার্য্যে ব্যাপৃত থাকে, তখন সেই মহাশক্তিশালী সূর্য্যকান্তিতে শক্তিদাতা পরম দেবের অনন্ত শক্তি কিঞ্চিৎ অনুভব করিয়া কাহার হৃদয় না কৃতজ্ঞতা রসে পূর্ণ হয়?

 সারাদিন আলোক বিতরণ করিয়া সন্ধ্যাকালে সেই দিনমণি যখন অস্তগমনের উদ্যোগ করে,—যখন হেমকিরীট বিভূষিতা সন্ধ্যা শ্রান্ত ক্লান্ত জীবগণের বিশ্রামের আয়োজনে প্রবৃত্ত থাকে, সেই সময় অস্তগামী রবির শাস্ত শোভাময় মূর্ত্তি দর্শন করিয়া কোন্ ভাবুকের প্রাণ না মহাভাবে নিমগ্ন হয়, এবং সেই পরম আশ্রয়দাতার চরণে আপনা আপনি শরণাপন্ন হইয়া পড়ে?

 সূর্যমণ্ডলই বিশ্বের প্রাণ এবং সকল শক্তির আধার। ভূমণ্ডলে শক্তির যে কি বিকাশ দেখিতে পাইতেছি সূর্য্য হইতেই তাহার অধিকাংশ গৃহীত হইয়াছে। মানব সভ্যতার শৈশবাবস্থায় এই সূর্য্য সম্বন্ধেও নানা দেশে কত চিত্তরঞ্জন আমোদজনক গল্প কল্পিত হইয়াছিল এবং অ্দ্যপি অশিক্ষিত সমাজে কত অদ্ভুত কাহিনী প্রচলিত রহিয়াছে। কিন্তু যুগের পর যুগ বিজ্ঞানের প্রখর উজ্জ্বল আলোক যেরূপ অপূর্ব্ব প্রভায় সমস্ত