পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
সাহিত্য-চিন্তা

তিন লক্ষ তেত্রিশ হাজার পৃথিবীর তুল্য হইবে। রবিদেহের তারল্যই বোধ হয় তাহার ভারের অল্পতার কারণ।

 পৃথিবীর ব্যাস (৪০০০) চারি হাজার মাইল, চন্দ্রের ব্যাস (১৫৮০) এক হাজার পাঁচ শত আশি ক্রোশ। কিন্তু পৃথিবীর ভার চন্দ্র অপেক্ষা ৭৮ গুণ বেশী। অর্থাৎ পৃথিবী ওজনে ৭৮টি চন্দ্রের সমান। এই হিসাবে সূর্যমণ্ডলের ভার অপেক্ষাকৃত অনেক অল্প সন্দেহ নাই।

 ধন্য বিজ্ঞান ও জ্যোতিষ! বিজ্ঞান ও জ্যোতিষ বলেই মর্ত্তাবাসী ক্ষুদ্র মনুষ্যগণ সুন্দর ব্যোমবিহারী জ্যোতিষ্কমণ্ডল ওজন করিতে সমর্থ হইয়াছেন।

 আলোক নামক প্রবন্ধে উল্লেখ করা হইয়াছে যে ইথরপুঞ্জের স্পন্দন হইতেই আলোকের উৎপত্তি। আলোক বিরাট বিশ্বব্যাপী ইথর-তরঙ্গের খেলা মাত্র। সূর্য্য এবং নক্ষত্রপুঞ্জ সেই আলোকরাশিরই উদ্ভবস্থান— তেজোরাশির বিশাল ঘনীভূত সমষ্টি মাত্র; মহা আকর্ষণে মহাশূন্যে অবস্থিত,—বিবুর্ণিত এবং প্রধাবিত। মহাত্মা নিউটন, আকর্ষণতত্ত্ব আবিষ্কার করিয়া জগতের বরণীয় হইয়াছেন। বর্ত্তমান যুগে বিজ্ঞান সেই আকর্ষণতত্ত্ব সম্বন্ধে কত প্রয়োজনীয় তথ্যই আবিষ্কার করিতেছেন