পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সূর্য্য-মণ্ডল
৫১

তাহা এই প্রবন্ধের আলোচ্য নহে। জ্যোতির্ব্বিদ পণ্ডিতগণ স্থির করিয়াছেন যে সূর্য্যমণ্ডল পৃথিবীর ন্যায় কঠিন পদার্থ নহে, জলের ন্যায় তরলও নহে, অল্প গাঢ়তা বিশিষ্ট। স্বর্ণ, রৌপ্য, লৌহ, প্রভৃতি নানাবিধ দ্রবীভূত ধাতুময় পদার্থ দ্বারা ইহার প্রচণ্ড তাপবিশিষ্ট অঙ্গ গঠিত। বর্ণ বিশ্লেষযন্ত্রের সাহায্যে সুন্দর ব্যোমস্থিত মহান ভাস্কর-দেহের অনেক তত্ত্বই ক্ষুদ্র মানব-বুদ্ধির গোচরীভূত হইতেছে। এমন কোন কোন ধাতু সূর্য্য-কলেবরে আবিষ্কৃত হইয়াছে যাহা পৃথিবীতে দৃষ্ট হয় না।

 সূর্য্যকে দূর হইতে রক্তবর্ণ বলিয়া প্রতীয়মান হয়; এজন্যই আর্য্য কবিগণ তাহাকে জবাকুসুম সঙ্কাশ বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সূর্য্য-দেহের বর্ণ রক্তিম নহে, তাহা কৃষ্ণকান্তি বলিয়াই নির্ণীত হইয়াছে। উজ্জ্বল রশ্মিমালার জন্য কৃষ্ণবর্ণ সূর্য্যদেবকে লোহিতাঙ্গ বলিয়া ভ্রম জন্মে। রবির অঙ্গের প্রত্যেক বিন্দু হইতে সপ্তবিধ বর্ণ সমন্বিত প্রখর রশ্মিমালা উদ্ভুত হইয়া থাকে।

 মার্তণ্ড অঙ্গে কতকগুলি কৃষ্ণবর্ণ কলঙ্কচিহ্ন ধরাবাসীর নয়নগোচর হয়। কখন কখন বা তাহা পরিবর্ত্তিত দৃষ্ট হইয়া থাকে। চন্দ্রকাস্তিতে যেসকল কলঙ্কচিহ্ন দর্শন করা যায় সৌরকলঙ্ক সেই প্রকার নহে। চন্দ্র