পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছায়া-পথ
৭১

 নক্ষত্রপুঞ্জের আকৃতি, গতি, দূরত্ব প্রভৃতি নির্দ্ধারণের নিমিত্ত যুগে যুগে মনীষিগণ গভীর গবেষণায় রত রহিয়াছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁহারা সেই ভূমা মহেশ্বরের মহিমার জ্বলন্ত নিদর্শন স্বরূপ নক্ষত্রপুঞ্জের বিষয় অতি অল্পই পরিজ্ঞাত হইতে সমর্থ হইয়াছেন।

 যে সময়ে পাশ্চাত্য জগতের অনেক দেশই ঘোর তমসাচ্ছন্ন ছিল, সহস্র সহস্র বৎসর পূর্ব্বে ভারত যখন জ্ঞানের সূর্য্যকিরণে প্রদীপ্ত ছিল, সেই সময়েও ভারতে জ্যোতিষতত্ত্বের আলোচনা অল্প ছিল না। খনা প্রভৃতি অসামান্য প্রতিভাশালিনী মহিলাগণও জ্যোতির্ব্বিদ্যায় অলৌকিক পাণ্ডিত্য লাভ করিয়াছিলেন; সে সমস্ত বিষয় এ প্রবন্ধের আলোচ্য নহে।

 নীরদমুক্ত নির্ম্মল আকাশে দৃষ্টিপাত করিলে, সুদূর ব্যোমপথে নক্ষত্র-বিরচিত এক কিরণময় মণ্ডল নয়নগোচর হয়। উহা নীল অসীম দীগন্তের উত্তর-পশ্চিম ব্যাপিয়া যেন দ্যুলোককে দুইভাগে বিভক্ত করিয়া মহাপথের তুল্য বিস্তৃত, এবং আলোকমালায় উদ্ভাসিত রহিয়াছে। তাহার নাম ছায়াপথ।

 জ্যোতিষ্ক-বিমণ্ডিত মহামহিমাময় ব্যোমের দুর্জ্ঞেয় সরণী পরিভ্রমণ করিতে মানব-মনের সাধ্য কি?