পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছায়া-পথ
৭৩

পথের ন্যায় দ্বিতীয় বস্তু আর কি আছে? সকল দেশেই প্রাচীন কবিগণ সত্যের সঙ্গে কল্পনা মিশ্রিত করিয়া যেন এক অপূর্ব্ব আমোদ অনুভব করিতেন। চীনের অধিবাসিগণ কর্তৃক ছায়াপথ মনোহর অমরাপুরীর পুণ্য সলিলাপ্রবাহিনী তরঙ্গিনীরূপে বর্ণিত হইয়াছে। এ সম্বন্ধে ভারত কাহারও পশ্চাৎবর্ত্তী নহে। ভারতবর্ষের অশিক্ষিত লোকদিগের মধ্যে এ সম্বন্ধে নানাপ্রকার কল্পিত ব্যাখ্যা শ্রবণ করা যায়। চিরকল্পনাপ্রিয় ভারতবাসিগণ এমন মাধুর্য্য ও মহিমাপূর্ণ বিষয়ে কেননা কল্পনার আশ্রয় গ্রহণ করিবেন?

 জ্যোতিষী পণ্ডিতগণ ছায়াপথ সম্বন্ধে কি অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন, এপ্রবন্ধে তাহাই কিঞ্চিৎ উল্লেখ করিব।

 ছায়াপথ স্তবকে স্তবকে নক্ষত্র অথবা সূত্রগ্রথিত মুক্তা সমূহের ন্যায় নক্ষত্রের সমষ্টি ভিন্ন আর কিছুই নহে। এই নক্ষত্রগুলি স্তরে স্তরে সুসজ্জিত। কোথাও বা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন, বিশৃঙ্খল ভাবে রহিয়াছে, —তাহাও স্তরে স্তরে। নৌকাপথে চলিতে চলিতে খরস্রোতা তটিনীর তীরে মৃত্তিকাস্তর দেখিতে পাওয়া যায়। একটি স্তরের উপর আর একটি স্তর কেমন সাজান রহিয়াছে। এই ছায়াপথের নক্ষত্রস্তর সেই প্রকার নহে। নীচের