পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছায়া-পথ
৭৭

 নক্ষত্রপুঞ্জ গমনশীল হইলেও অতিশয় দূরত্ব বশতঃ তাহারা স্থির বলিয়া মনে হয়।

 আকাশের ইতস্ততঃ অনেক স্থানেই নক্ষত্রপুঞ্জ স্তবকে স্তবকে দৃষ্ট হয়। একবৃন্তে বহু পুষ্পের ন্যায় যেন গুচ্ছে গুচ্ছে সজ্জিত রহিয়াছে।

 দূরবীক্ষণ যন্ত্রদ্বারা বহু দূরে যে অস্পষ্ট আলোক বিশিষ্ঠ নক্ষত্রপুঞ্জ দৃষ্ট হয় তাহার নাম নীহারিকা। সমুদ্র বেলাস্থিত সিকতাস্ত‍ুপের ন্যায় কত স্তরে স্তরে অনন্ত নক্ষত্রপুঞ্জ ধূমবৎ দৃষ্ট হইয়া থাকে। বলা বাহুল্য যে ইহারা সকলেই এক একটি জ্যোতির্ম্ময় সূর্য্য! এবং সম্ভবতঃ সকলেই এক এক সৌরজগৎ অধিকার করিয়া রহিয়াছে!

 আশ্চর্য্য! আশ্চর্য! বিস্ময়ে বাক্য নিস্তব্ধ হইয়া পড়ে! হৃদয় কি এক অনির্ব্বচনীয় ভাবরসে অভিষিক্ত হইতে থাকে। সীমাশূন্য—অন্তশূন্য ব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টার অসীম শক্তির বিষয় চিন্তা করিতেও আমরা সমর্থ নহি। কেবল অবনত মস্তকে ভক্তিপরিপ্লুত প্রাণে সেই মহা শক্তিময় জ্ঞানময় পুরুষকে প্রণাম করিয়া ক্বতার্থ হই। ইহাতেই আমাদের মানবজন্মের সার্থকতা।