পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রকৃত বন্ধুতা

 আজ বাসন্তী পূর্ণিমা। সন্ধ্যার পূর্ব্বে আশ্রমের ছাদের উপর প্রিয়নাথ একাকী উপবিষ্ট। দুই একটি শ্রান্ত বিহঙ্গম মাথার উপর দিয়া কুলায় অন্বেষণে চলিয়া গেল। ক্রমে জবা কুসুমপ্রতিম দিবাকর অস্তাচল চূড়ায় আরোহণ করিলেন। সূর্য্যাস্তের কি অপরূপ শোভা! নীলআকাশে কে যেন সোণা ঢালিয়া দিল। সে সোণালী আভায় ধরণী রঞ্জিত হইয়া উঠিল। প্রিয়নাথ অনিমেষ নয়নে অস্তগামী রবির ভুবনমোহন কান্তি দর্শন করিতে লাগিলেন।

 প্রকৃতির মহিমাময় দৃশ্য দেখিতে দেখিতে তাঁহার মানস-পটে একটি জীবন্ত চিত্র ভাসিয়া উঠিল। সেই মহাপুরুষের জটাবিলম্বিত,—বিভূতি-ভূষিত,—জ্যোতির্ম্ময় মহামহিমান্বিত মূর্ত্তি! এ মূর্ত্তি যেন তাঁহার হৃদয়কে সম্পূর্ণরূপে অধিকার করিয়া বসিয়াছে। মানস-চিত্রপটে স্মৃতির-তুলিকায় রঞ্জিত এ ছবি দেখিতে দেখিতে ক্রমে বাহ্য জগৎ বিস্তৃত হইলেন।

 তিনি ভাবিতে লাগিলেন, —“জ্ঞান-সমুদ্র মন্থন করিয়া কুলের চিহ্নও তো দেখিতে পাইতেছি না। এ যে