উভয়ের করে করবদ্ধ তেমনি ভাবে রহিয়াছে। অমরেন্দ্র আভাসে পূর্ব্বেই কতকটা বুঝিতে পারিয়াছিলেন। বিষণ্ণভাবে কহিলেন,—“কি কথা প্রকাশ করিয়া বল।”
প্রিয়নাথ,—অমরেন্দ্র, প্রাণের ভাই! আমি জানি তুমি সাধারণ লোক হইতে ভিন্ন। ভগবান্ তোমাকে পতাকাচিহ্নিত করিয়া কার্য্যক্ষেত্রে প্রেরণ করিয়াছেন; মায়ের চরণতলে তুমি সমস্ত আকাঙ্ক্ষাকে বলিদান করিয়া অগ্রসর হইতেছ; তাই তোমাকে বলিতে পারিতেছি। আমার আর সংসারে মন নাই। হিমালয়ের কোন নির্জ্জন অরণ্যে চলিয়া যাইতে ইচ্ছা হইতেছে।”
এই কথায় অমরেন্দ্র নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন। পরে ধীরে ধীরে কহিলেন,—“একি কথা প্রিয়নাথ!”
প্রিয়নাথ,—“অমরেন্দ্র, আমি যাহা বলিতেছি শোন। তুমি আমেরিকা যাও; ফিরিয়া আসা পর্য্যন্ত আমি এই কলিকাতায়ই তোমার প্রতীক্ষায় বাস করিব। পরে তোমাদের দুজনের হস্ত বিবাহ-বন্ধনে সম্মিলিত করিয়া আমি সন্ন্যাস গ্রহণ করিব।”
অমরেন্দ্র বুঝিতে পারিলেন যে জীবন-পথে জ্ঞান, ভক্তি ও কর্ম্মের সামঞ্জস্য রক্ষা না করাতেই তাঁহার