পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতে নারীর উন্নতি

 প্রায় চারি সহস্র বৎসর পূর্ব্বে রাজমি জনক যখন মিথিলার রাজসিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত থাকিয়া যোগধর্ম্ম এবং সংসারধর্ম্মের সমন্বয় সাধন করিতেছিলেন, সেই সময় রাজশক্তি এবং ব্রহ্মশক্তি অপূর্ব্ব পূর্ণতা প্রাপ্ত হইয়াছিল। একদিকে অলৌকিক শৌর্যবীর্য্যের বিশ্বমুগ্ধকারী আলোকরশ্মি,—অপর দিকে জ্ঞান, যোগ ভক্তি বৈরাগ্যের মহিমান্বিত শক্তি সঞ্চারিণী প্রতিভা। উত্তর প্রবল শক্তির সামঞ্জস্য বিধান করিয়া রাজর্ষি জনক ভারতবর্ষে জগৎপূজ্য এক পুণ্যময় মহাশক্তির প্রতিষ্ঠা করিলেন। সেই শুভদিনে, মাহেন্দ্রযোগে, নারীপ্রতিভার কি প্রকার বিকাশ সাধিত হইয়াছিল তাহা দৃষ্টান্তস্বরূপ নিম্নে একটি ঘটনা বিবৃত করিতেছি।

 সুলভা নাম্নী এক ব্রহ্মবাদিনী যোগধর্ম্মাবলম্বিনী মহিলার বিষয় বোধ হয় অনেকেই অবগত আছেন। সাক্ষাৎ স্বর্গীয় অগ্নির ন্যায়—মূর্ত্তিমতী তপস্যার ন্যায়—সেই বরণীয়া নারী, ধর্ম্মের জ্যোতিতে স্বদেশ আলোকিত করিয়া আনন্দে সর্ব্বত্র বিচরণ করিতেন। তাঁহার উন্নত প্রেমপূর্ণ হৃদয়ের জ্ঞানপ্রভা অনেক পুরুষ হৃদয়কেও পুণ্যালোকে আলোকিত করিয়াছিল। একদিকে যেমন তিনি ব্রহ্ম-সমাধি-যোগে অনেক সময় নিমগ্ন থাকিয়া