পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯০
সাহিত্য-চিন্তা

 উদার ধর্ম্ম ভীরুতাই তাহাদের উন্নতির প্রধান ভিত্তি ছিল। যখন তাঁহারা নির্ম্মল সৌন্দর্য্যে অপরিসীম মহাশক্তির পরিচয় পাইয়া স্তম্ভিত হইতেন, এবং তাহার পূজা করিতেন, তখনও তাঁহাদের অকপট উদার ধর্ম্ম-ভীরুতার পরিচয় পাওয়া যায়।

 “হে অগ্নি আমাদিগকে কর্ম্মফল ভোগের দ্বারা সুপথে লইয়া যাও; হে দেব তুমি সমুদয় কর্ম্ম জ্ঞাত আছ। আমাদের মন হইতে কুটীল পাপ দূর কর। তোমাকে বার বার নমস্কার করি।”

 আর্য্যগণ ক্রমে ক্রমে কি প্রকার সাধনার উচ্চতম শিখরে আরোহণ করিয়াছিলেন, আমাদের উপনিষৎ গীতা প্রভৃতি গ্রন্থসমূহ তাহার সাক্ষীস্বরূপ বর্ত্তমান রহিয়াছে। সুরনন্দন নির্বাসিনী দিব্যাঙ্গনার ন্যায় সাম্য মৈত্রী তাঁহাদের সাধন-মন্দির আলোকিত করিয়া প্রীতির বীণার যে মধুর গীতিধ্বনি উত্থিত করিয়াছিল, তাহার প্রতিধ্বনি আজিও কালের গভীর আবরণ ভেদ করিয়া প্রকৃতির মর্ম্মে মর্ম্মে বাজিয়া উঠিতেছে।

 মানবসমাজের অর্দ্ধেকই নারীশক্তি, ইহা কাহারো অবিদিত নাই। পুরুষ ও নারীশক্তি সংমিশ্রণে সমাজের পূর্ণতা সাধিত হয় একথা আর্য্যগণ যে সম্যক হৃদয়ঙ্গম