পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আর্য্যজাতির পতনের কারণ
৯৩

 প্রজাপতি দক্ষ ও সাধ্বী স্ত্রীকে অতিশয় উচ্চে আসন প্রদান করিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, “যে স্ত্রী স্বামীর অনুকূলতাচরণ করে ও বাক্যদোষ রহিত, কার্য্য দক্ষা সতী, মিষ্টভাষিণী ও আপনা আপনি ধর্ম্ম রক্ষা করেন এবং পতিভক্তিমতি, সে স্ত্রী মনুষ্য নয় দেবতা সদৃশী।”

 আর্য্যগণ যদিও অনার্যদিগকে পরাভূত করিয়াছিলেন তথাপি তাঁহারা সর্বদাই অনার্য্যদিগকে সখ্য বিবাহাদির দ্বারা প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করিতে যত্নবান হইতেন এবং তাহাদিগকে আর্য্য সমাজের অঙ্গীভূত করিয়া লইতেন এই সম্প্রসার নীতিই আর্য্যগণের উন্নতির একটী প্রধান কারণ ছিল এবং তাহাতেই তাঁহাদের শক্তি বিশ্ববিজয়িনী হইয়া উঠিয়াছিল।

 অনেক স্থানে নিম্ন শ্রেণীস্থ ব্যক্তিদিগকে তাঁহারা অতি উচ্চ আসন প্রদান করিয়াছিলেন। শৌনক প্রভৃতি জগৎ পূজ্য মহর্ষিগণ মহাপণ্ডিত ও সূতপুত্র উগ্রস্রবার নিকট পুরাণ শ্রবণ করিয়াছিলেন। এমন কি শূদ্রগণ ও বেদ রচনায় অধিকারী ছিলেন।

 যে আর্য্য জাতি জগতে শ্রেষ্ঠতম শক্তিরূপে পরিগণিত ছিলেন, যে ভারতবর্ষ ধরণী রাণীর মুকুটভূষণ দুলর্ভ স্পর্শ মণিরূপে শোভা পাইত, যাহার স্পর্শে বিশ্ব ভাণ্ডারের কত