পাতা:সাহিত্য-মীমাংসা - বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০৪

28 সাহিত্য-মীমাংসা of suggestion) বলিয়া থাকেন। সাহিত্যবর্ণিত বিভাব, অমুভাব প্রভৃতি অর্থেরই এই অসাধারণ ব্যাপার অাছে, লৌকিক অর্থের নহে।’ দেখা গেল, অভিনবগুপ্তের মতে রসামুভূতি শুধু সংবেদনঘন চৈতন্তের আনন্দাংশের আবরণভঙ্গমাত্র। কাব্যবর্ণিত অথবা নাট্যাভিনীত বিভাবাদি অর্থের ব্যঞ্জনাব্যাপারের অলৌকিক মহিমাবশে এই আবরণভঙ্গ সম্ভব হয়। ফলে বিশুদ্ধ নিঃসঙ্গ আত্মচৈতন্তের যে স্ববিশ্রাস্ত স্ফুরণ তাহার মধ্যে সংবেদন JR ETf7f7—cognition RR affection, consciousness FR feeling, দুইই সমানভাবে বর্তমান। আমাদের আনন্দামুভূতির মধ্যেও বিজ্ঞানাংশের ফুরণ অব্যাহত থাকে। আমাদের রসামুভূতি বিজ্ঞানময় আনন্দাচুভূতি’, বিজ্ঞান ও আনন্দময় চৈতন্তের আবরণহীন জ্যোতির্ময় প্রকাশ । সেইজন্য শ্রুতি বলিয়াছেন—“রসো বৈ স: রসং হোবায়ং লব্ধ আনন্দী ভবতি ।” কিন্তু স্বয়ম্প্রকাশ আবরণহীন চৈতন্যই যদি রসপদবাচ্য হয়, তবে ভরতের রসস্তুত্রের সঙ্গতি রহিল কোথায়? ভবত যে বলিয়াছেন—‘অথ স্থায়িভাবান রসত্বমুপনেষ্যাম:’—তাহ রক্ষিত হইল কই ? রস তো স্থায়িভাবের পরিং নহে, উহা তো চৈতন্যস্বরূপ ? অভিনব গুপ্তাচার্য এই প্রশ্নের সমাধান নির্দেশ করিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন : সংবেদনঘন আত্মচৈতন্তের আনন্দাচুভূতিই রসাস্বাদ । তথাপি স্থায়িভাবসমূহ সেই আনন্দাচুভূতিকে চিত্রীকৃত (variegated) করিয়া তুলে । রতি, শোক, ক্রোধ, উৎসাহ প্রভৃতি স্থায়িভাবের উপযোগিতা আর কিছুই নহে, চিত্ৰতাকরণ মাত্র। চৈতন্য এক ও অভিন্ন, উহার আনন্দস্বরূপেরও কোনও ভেদ বাস্তবদ্যুষ্টিতে সম্ভব নহে। তথাপি শৃঙ্গার, করুণ, রৌদ্র, বীর প্রভৃতি রসামুভূতি যে সহৃদয়ের চিত্তে বিভিন্নরূপে প্রতিভাত হইয়া থাকে, তাহার কারণ সেই সেই স্থায়িভাব উদ্বুদ্ধ S SBB BBBSBBB BBDDD DD DDD BB BBSBBS BB BBDDDDDD S ব্যক্তিশ্চ ভগ্নাবরণ চিৎ।”—রসগঙ্গাধর, श्रृं. २७ ।।