পাতা:সাহিত্য-মীমাংসা - বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য্য.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Уе е সাহিত্য-মীমাংসা অতিশয়োক্তি প্রভৃতি অর্থালঙ্কারও ষে কবিকর্মের অপরিহরণীয় সামগ্ৰী বলিয়া বিবেচিত হইত, ইহাতে বিস্ময়ের কিছুই নাই। কেন না, সাহিত্য অনেকাংশে সমসাময়িক লৌকিক সভ্যতার প্রতিচ্ছবি, তাহার মধ্য দিয়াই সমসাময়িক মানবের সৌন্দর্যবোধ ও রুচিজ্ঞান প্রকাশিত হইয়া থাকে, ইহা পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে।’ এখনও মানবসমাজ অলঙ্কারের মোহ হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত হইতে পারে নাই। পূর্বে যাহা স্কুল ছিল, এখন তাহাই স্বক্ষ হইয়াছে ; যাহা গুরু ছিল, তাহা লঘু হইয়াছে ; যাহা ‘কুণ্ডল ছিল, তাহ৷ ‘কণিকা হইয়াছে । *র্তারা সবাই অন্য নামে আছেন মর্ত্যলোকে” । কাব্যালঙ্কারের ক্ষেত্রেও সেই একই রীতি। নৃতন নূতন অলঙ্কার উদ্ভাবিত হইতেছে, কত স্বক্ষ বক্রোক্তি’, বাক্যযোজনায় কত নূতন বৈদগ্ধ্য ! এ সমস্তষ্ট কাব্যের সৌন্দর্যসাধনের জন্ত । কেন না, সৌন্দর্যই অলঙ্কার । অলঙ্কার যে সৌন্দর্যসাধনের একটি বিশিষ্ট উপাদান, তাহা কোনও সহৃদয়ই অস্বীকার করিবেন না দোলায়িত শ্রবণকুণ্ডল যে কমনীয় রমণীমুখের সৌন্দয অধিকতর ঔজ্জ্বল্যমণ্ডিত করে, তাহা চক্ষুষ্মান ব্যক্তিমাত্রেরই অনুভবসাক্ষিক । ভামহ, দণ্ডী প্রভৃতি প্রাচীন আলঙ্কারিকগণ সাহিত্যক্ষেত্রে উপমা প্রভৃতি কাব্যালঙ্কারসমূহের যে একটি বিশিষ্ট স্থান নির্দেশ করিয়া গিয়াছিলেন, ইহা র্তাহীদের রুচিবোধেরই পরিচায়ক । কিন্তু একটি বিষয়ে তাহারা ভ্রান্ত ছিলেন । র্তাহারা অলঙ্কারকেই সাহিত্যের প্রাণস্বরূপ ললিয়া নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন । র্তাহীদের মতে অলঙ্কারকে বাদ দিয়া কবিকর্মের কোন ও অস্তিত্বই থাকিতে পারে না। তাহারা যদি উপমানভূত নারীদেহের সহিত কাব্যশরীরের পূর্ববর্ণিত সাধর্ম্য এই স্থলে লক্ষ্য করিতেন, তাহা হইলে সম্ভবত এইরূপ প্রমাদে পড়িতেন না। কটক, কুণ্ডল প্রভৃতি অপসারিত করিলে ভূষণহীন নারীদেহের কি কোনও সৌন্দর্যই অবশিষ্ট থাকে না ? সাহিত্যে s. *८णtरूवृखांधूकब्र* नाछैtबटकाम्नां कृठभू-नांtालांश, २,००७ । नाप्नेr' वा 'पृछकांबा' नचरक এই উক্তি 'প্রধাকাব্য সম্বন্ধেও অনুরূপ প্রযোজ্য।