পাতা:সাহিত্য-মীমাংসা - বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য ও রসতত্ত্ব ع\ مقا রজতবুদ্ধিও ঠিক সেইরূপই সত্য ও স্বতঃপ্রকাশ। কিন্তু বাহবস্তুর সহিত সম্পর্ক স্থাপন করিলেই পূর্বটি সত্য ও অপরটি মিথ্যা বলিয়া পরিগণিত হইয়। থাকে। কেন না, প্রামাজ্ঞানটির সহিত বাহাবস্তুর সংবাদ (correspondence) বিদ্যমান আছে, কিন্তু শুক্তিকায় রজতজ্ঞানটি বাহাবস্তুবিসংবাদি । ব্যাবহারিক লৌকিক জীবনে আমাদের বাহাবস্তু লইয়াই নিয়ত ব্যস্ত থাকিতে হয়—শুদ্ধমাত্র জ্ঞান লইয়া আমাদের জীবন ধারণ দুষ্কর। মরুমরীচিকাবুদ্ধি বস্তুনিরপেক্ষ দৃষ্টিতে স্ববিশ্রাস্ত ও স্বতঃপ্রমাণ হইতে পারে বটে, কিন্তু তৃষ্ণগর্ত পথিক যদি ওই জ্ঞানকে সত্য ভাবিয়া সেই মৃগতৃষ্ণিকার দিকে ধাবিত হয়, তবে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী । সুতরাং ব্যাবহারিক জগতে জ্ঞানের সত্যাসত্যত্ববিচার দুপরিহর ; কেন না, জ্ঞান জন্য প্রবৃত্তি ও বাহাবস্তুকে লইয়াই লোকযাত্রা । কিন্তু সাহিত্যের ক্ষেত্রে জ্ঞানের সত্যাসত্যত্ববিচারের উপযোগিতা কতটুকু ? এখানে জ্ঞানের সহিত বাহবস্তুর সংবাদ (correspondence) আছে কি না, নটে রতিরূপ স্থায়িভাবের অনুমান বস্তুত নটনিষ্ঠ স্থায়িভাবের বাস্তব সত্তার উপর প্রতিষ্ঠিত কি ন!—তাহ। লইয়া বিচার করিয়া কি লাভ ? ঐ রূপ সত্যাসত্যত্ববিচারের দ্বার। রসবোধের কতটুকু উৎকর্ষ বা অপকৰ্ষ হইবে ? সামাজিক কর্তৃক যে স্থায়িভাবের অনুমান—উহা তো স্ববিশ্রান্ত, প্রতীতিমাত্রসার । উহার সত্যত্ব মিথ্যাতৃ বিচার করিয়া তো আমাদের ব্যাবহারিক জীবনের কর্মপ্রণালীর সাফল্য বা ব্যর্থত। কিছুই সাধিত হইবে না। কেন না, উহা ব্যবহারজগতের গণ্ডীর বাহিরে ; সাহিত্যচর্চা তে। ব্যবহারজগতের নীরস, রূঢ়, নির্মম বস্তুপরতন্ত্রতা হইতে বস্তুসংস্পর্শহীন কাল্পনিক বিশ্বের মধ্যে ক্ষণকালের জন্য আনন্দময় মুক্তি ! সেখানে কোনও ব্যাবহারিক প্রয়োজনের তাগিদ নাই—অতএব জ্ঞানের সত্যসত্যত্ব বিচারের মূল ভিত্তিরই সেখানে একান্ত অভাব। সাহিত্যজন্য যে সকল অনুভূতি, উহারা সত্য-মিথ্যার বাহিরে, উহারা সত্যমিথ্যাবহির্ভূত তৃতীয় এক অলৌকিক পর্যায়ের অন্তভূক্ত। সুতরাং বাহ বাস্তবজগতে উহার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত কি না, এইরূপ বিচার