পাতা:সাহিত্য-মীমাংসা - বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ❖ সাহিত্য-মীমাংসা রূপের প্রতীতিই তো সহৃদয়ের রসাস্বাদের চরম কথা নহে । রসচর্বণাজনিত সামাজিকচিত্তে ষে অলৌকিক আনন্দের উদ্ভব হয়, তাহার হেতু কি ? ঐ আনন্দাংশের উৎস কোথায় নিহিত আছে, এবং কোন ব্যাপার বলেই বা সেই রুদ্ধ উৎসমুখ নিঃসারিত হয় ? ভট্টনায়ক রসচর্বণায় এই আনন্দকুভূতির বিশ্লেষণ প্রসঙ্গে সহৃদয়চিত্তের একটি বিশিষ্ট ব্যাপার (function) স্বীকাব করিয়াছেন, যাহার নাম ‘ভোগীকৃতি’। ‘অভিধা’ এবং ‘ভাবনা'—পূর্ববর্ণিত এই দুইটি ব্যাপাব যথাক্রমে ‘শবা’ ও ‘অর্থের স্বতন্ত্র শক্তি । কিন্তু ‘ভোগীরুতি’ সম্পূর্ণরূপে সহৃদয়ের অগস্তব ব্যাপাপ—ইহা একটি psychical process ; সহৃদয়চিত্ত তখন পাহাবস্তু হইতে সম্পূর্ণভাবে নিবৃত্ত হইয়। আন্তরজগতেপ সাধারণীকৃত বিজ্ঞানমাত্রসার পদার্থসমূহের আস্বাদ গ্রহণে ব্যস্ত, উহ। তখন একান্তভাবে অস্তমুখ । বি ভাব, অন্তভাব, স্থায়িভাব, সঞ্চারিভাবের সাধারণী ক্ষতির ফলে মানবচিত্তেপ যে স্বাভাবিক আসক্তি ও গ্রহণবজনস্পৃহা, তাহা তখনকার মত তিরোভূত হয় । ত্ৰ গুণ স্মক চিত্তে তখন রজো গুণ ও তমোগুণ ক্ষণিকের জন্য আরত ও অভিভত হইয়া থাকে, সুতরাং ঐ গুণদ্বয়জনিত চাঞ্চল্য ও জড়তা, দুঃপ ও মোহ সঙ্গদয়েব অষ্টভতিব ক্ষেত্র হইতে নির্বাসিত হয়। সহৃদয়ের অন্ত:করণ সেই সময়ে সত্ত্ব গুণের উদ্রেকের ফলে নিরতিশয় স্বচ্ছতা লাভ করে । ত হার মধ্যেই সত্তা, চৈতন্য ও আনন্দময় পবব্রহ্ম—শৈল প্রত্যভিজ্ঞাবাদিগণের মতে যিনি ‘পরমশিব’, আপনার স্বাগও স্বরূপে প্রকাশমান হন চিত্ত তখন নিবিষয, স্থিল, মোহবিনিমুক্ত,—আনন্দ ও বিজ্ঞানের আকর পরমশিবের সহিত ঐ কাত্ম্যসূত্রে সম্বদ্ধ। বাহ বিষয় হইতে নিবৃত্ত হওয়ায়, রজোবুক্তির উদ্রেকলশত যে চাঞ্চল্য,—সাংখ্য প্রস্থানের আচার্যগণের মতে যাহা সমস্ত দুঃখেপ নিদান, সেই অস্থৈর্য ও চাঞ্চল্য তখন লুপ্ত । ত্ৰিগুণাত্মক চিত্তের সত্ত্ব গুণের উদ্রেকের ফলেই চৈতন্যের স্বরূপাবরক সমস্ত মল দুীভূত হয়। পূর্ণপ্রকাশমান আত্মচৈতন্য তখন উচ্ছলিত, অপরিমিত স্বরূপানন্দের অস্বিাদনে মগ্ন । বেত্তা ও বেদ্য তখন অভিন্ন, গ্রাহ ও গ্রাহকের