পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতবর ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর। V30: এ বিষয়ে নূতন পথপ্রদর্শকের মহিমা কি কখনও বিলুপ্ত হইতে পারে ? র্তাহার “সীতার বনবাসের” বাঙ্গালা কি আমরা কখনও ভুলিতে পারিব ? বিধবাবিবাহ-বিষয়ক প্ৰস্তাবের উপসংহারভাগ মরণের দিন পৰ্য্যন্ত কি আমাদের কৰ্ণে প্ৰতিধ্বনিত হইবে না ? আমাদের বর্তমান বঙ্গভাষা কি পরিমাণে যে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট ঋণী, তাহা কি নির্দেশ করা যায় ? একদিকে তিনি যেমন বিশুদ্ধ, কোমল, হৃদয়গ্ৰাহী বাঙ্গলা ভাষার সৃষ্টি করিতে লাগিলেন, অপরদিকে বিদ্যালয় সকল স্থাপন করিয়া শিক্ষার বিস্তার করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। যখন দেখিলেন, গবৰ্ণমেণ্টের মনোগত অভিপ্ৰায় উচ্চশিক্ষাকে কতিপয় সঙ্গতিসম্পন্ন ব্যক্তির মধ্যে আবদ্ধ রাখা, এজন্য তঁাহারা প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রদের বেতন বৃদ্ধি করিতেছেন, অথচ অনুভব করিলেন যে, এই উচ্চশিক্ষাই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ভদ্রলোকদের জীবিকা অৰ্জনের ও মনুষ্যত্ব লাভের একমাত্র উপায়, তখন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বালকদিগের উচ্চশিক্ষার্থ নিজ ব্যয়ে নিজ বাসগ্রামে এণ্টস স্কুল ও কলিকাতায় মেট্ৰপলিটান কলেজ স্থাপন করিলেন । এজন্য তাহাকে কত পরিশ্রম ও অর্থব্যয় করিতে হইয়াছিল, তাহা বলা যায় না । একদিকে তিনি যেমন শিক্ষাবিস্তারের জন্য ব্যগ্ৰ হইলেন, অপরদিকে দেশের সৰ্ব্ববিধ উন্নতি বিষয়ে সহায়তা করিতে লাগিলেন। স্বৰ্গগত প্যারীচরণ সরকার মহাশয় যখন সুরাপান নিবারণী সভা স্থাপন করিতে অগ্রসর হইলেন, তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় তঁহার একজন প্ৰধান সদায় ও উৎসাহদাতা ছিলেন। হিন্দুপেটিয়ট পত্রিকার প্রথম সম্পাদক খ্যাক্তনামা হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হইলে, পরলোকগত কালীপ্রসন্ন সিংহ মহােদয় মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের পরিবার পরিজনের নিকট হইতে ট্ৰেীয়ট কিনিয়া লইয়াছিলেন। তঁহার হস্তে ঐ পত্রিকা অবসন্ন দশা প্ৰাপ্ত হইয়া যখন উঠিয়া যাইবার উপক্রম হইল, তখন তিনি মধ্যে পড়িয়া উহার