পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to সাহিত্য স্নাত্নাবলী । আছে । এখন প্রশ্ন এই, যাহা অসার, যাহা এক সময় দেহ হইতে বর্জন করিতেই হইবে, তাহা মানবের খাদ্যের সহিত মিশিয়া রহিল কেন ? প্রশ্নের উত্তরে বক্তা বলিলেন, ঐ আসার ভাগগুলি থাকার জন্য সারা ভাগগুলি কাৰ্য্য করিতে পায়, ওগুলি না থাকিলে পুষ্টিকর সামগ্ৰীগুলি সে KYDSLLLBDt DBDDS S DDDD BBBBLDS SDBBDBD uS DDDBLBB SDDBD অনেক চিন্তা করিয়াছি । অনুভব করিয়াছি যে বিধাতার সৃষ্টিপ্রক্রিয়ার মধ্যে এরূপ ব্যবস্থাই আছে, যে একটী সারবস্তুকে বলবান করিবার জন্য দশটি আসার বস্তু তাহার চারিদিকে থাকে। যেমন মানুষ যখন পাখীটীকে মারিবার জন্য বন্দুকে গুলি পোরে, তখন অনেক সময়ে দেখি যে এক মুঠ গুলি তাহার মধ্যে দিল ; কিন্তু পাখীটী যখন মরে, তখন একটী ৰা। দুইটী গুলিতেই মরে ; যদি সে বিংশতিটীগুলি বন্দুকের মধ্যে দিয়া থাকে, তবে দুইটী কাজে লাগিল আর অষ্টাদশটী বৃথা গেল। কিন্তু সম্পূর্ণ বৃথা কি গেল? কখনই না। সেই অষ্টাদশটা গুলি বন্দুকের মধ্যে থাকাতে সংঘর্ষণের প্রভাবে অপর দুইটার বলবৃদ্ধিৰ পক্ষে সহায়তা করিয়াছে; সেইরূপ চিন্তা করিয়া দেখ, এজগতে যত প্ৰাণী জন্মিতেছে, সকলে কি কাজ করিতেছে ? যত প্ৰাণী এ জগতে জন্মগ্রহণ করে, তাহারা সকলে যদি জীবিত থাকে, তাহা হইলে অচির কালের মধ্যে ভুবন ভরিয়া যায় । অধিক কি, পণ্ডিতগণ গণনা করিয়া দেখিয়াছেন, যে হস্তীর শাবক। অনেক বিলম্বে হয়, সেই হস্তীর শাবক সকল যদি বাচিয়া থাকে, তাহা হইলে একশত বৎসরে হস্তীতে জগতের অধিকাংশ স্থান ভরিয়া যায়। বর্ষাকালে আমরা পথে ঘাটে কত ভেক-শিশু দেখিতে পাই ; দেখি কৃষ্ণবৰ্ণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভোক চারিদিকে লাফাইয়া বেড়াইতেছে ; অন্যমনস্ক ভাবে পা বাড়াইতে গেলেই, তাহাদিগকে মাড়াইয়া ফেলিবার সম্ভাবনা। অথবা শ্রাবণ, ভাদ্র মাসে কোন কোন সময়ে গঙ্গার জলে একজাতীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কুলীয়ক