পাতা:সাহিত্য-সংহিতা (নব পর্য্যায়, পঞ্চম খন্ড).pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাত্তিক, ১৩২৩। ] চীন ও হিন্দু-সভ্যতা। ৩০৯ হইবে।” টেবিলের সংখ্যা দ্বারাই লোকের স**: নিণীত হয় । চীনাদের আহারপ্ৰণালী আমাদিগের আহার-ম্প্রণালী অপেক্ষা অনেক উৎকৃষ্ট । আমাদিগের কোন নিমন্ত্রণে বাটীর আঙ্গিনায় কলার পাতা পাতিয়া লোক মাটিতে বসিয়া অঙ্গুলির সাহায্যে আহার করে। দই কি অম্বল খাইবার সময় মহা মুস্কিল । অঙ্গুলির দ্বারা পাতলা দই কি অম্বল তুলিয়া মুখে দেওয়া কষ্টকর। ইতিমধ্যে পাতা খানি হটাৎ ছিাড়িয়া গেলে নিম্ন হইতে মাটী উঠিয়া খাদ্য দ্রুৰ্যের সঙ্গে ਸਿਖਿਚ হইয়া “মাট খাওয়া” কাৰ্য্যে পরিণত হয় । আমাদিগের কলার পাতায় খাওয়া আজকাল বিজ্ঞান-চচ্চার দিনে অতি আপত্তিজনক । এই প্ৰকার আহার-প্ৰণালী ও অন্যান্য কারণে ইউরোপীয়গণ ভারতবাসী দিগকে অসভ্য মনে করেন। কলার পাতা অচিরে পরিত্যাগ করা কীৰ্ত্তব্য । কঁাসার বা পিতলের থালায় আহার-প্ৰণালীও আজকাল বিজ্ঞানবিরুদ্ধ। তাহার পরিবর্তে চীনামাটির বাসন চলিত হইলে খুব ভাল হয়। আমরা অঙ্গুলি দ্বারা আহার করি বলিয়া চীনারা আমাদিগকে বিদ্রপ করে । চীনাদিগের টেবিলের উপর একটি বাটী, এক জোড়া শলা (বা শের-হাতির দাতের বা রূপার ), একখানি চামচ প্ৰভৃতি প্ৰত্যেক ব্যক্তির জন্য সজ্জিত থাকে । টেবিলের উপর আট কি দশখানা প্লেটে নানাবিধ ফলাদি সাজাইয়া রাখে। অনেক নিমন্ত্রণে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিগণের কে কোন স্থানে আসন গ্ৰহণ করিবেন, তাহার নিদর্শনস্বরূপ এক এক খানি করিয়া কাগজে তাঁহাদের নাম লেখা থাকে । , সুতরাং কোথায় কে বসিবে, পাতা পাইলাম না, জল পাইলাম না বলিয়া একটা গণ্ডগোল হয় না । গৃহস্থ প্ৰত্যেক নিমন্বিত ব্যক্তিকে অভিবাদন করত নির্দিষ্ট স্থানে বসিবার জন্য অনুরোধ করেন । সকলে আসন গ্ৰহণ করিলে এক এক টেবিলে একজন বা দুষ্টজন করিয়া নির্দিষ্ট পরিবেশক নিয়মমত আহাৰ্য পরিবেশন করিতে থাকে। কোন গোলযোগ হয় না। একটুশব্দও শুনিতে পাওয়া যায় না। টেবিলের মধ্য ভাগে একটি গামলায় বা বড় বাটিতে করিয়া এক একটু ব্যঞ্জন রাখিয়া দেওয়া হয়, সকলে তাহা হইতে উক্ত শলাকা দ্বারা উত্তোলন করত মুখে দেন। ঝোল খাইতে হইলে চীনারা চীনে মাটির বা. রৌপ্যের চামচ ব্যবহার করে। আহারাদির সময় চীন দেশে জল পান করিবার নিয়ম নাই। আমরা কিন্তু খাইবার সময় জল পান না করিলে