পাতা:সাহিত্য-সংহিতা (নব পর্য্যায়, পঞ্চম খন্ড).pdf/৪৬৭

পৌষ, মাঘ, ১৩২৩ । ] दक्षांव-काईिी । 889 অনুসরণ করিয়া তাহারা সেই মুসলমানের গৃহদ্বারে গিয়া পৌঁছিল । রাজা সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত হইয়া আদেশ করিলেন,-“যে শিশুর মঙ্গলার্থে এই গো নিহত হইয়াছে, তাহাকে কল্য প্ৰাতে, প্রাসাদে আনিয়া বধ করা হইবে। যাহায় জন্মোৎসবে এত বড় এক পাপ কাৰ্য্য অনুষ্ঠিত হইয়াছে, তাহায় বঁচিয়া থাকা যুক্তিসঙ্গত নহে ।” মুসলমান ভিতর ভিতর রাজ-আজ্ঞা অবগত হইয়া, সেই রাত্রেই স্ত্রী ও নবজাত শিশুপুত্রকে লইয়া বাসভূমি ত্যাগ করিলেন এবং ভারতবর্য পার হইয়া ঠাঁহায় আদিম নিবাসস্থান আয়ব্য দেশে উপস্থিত হইলেন । মক্কানগরীতে বাৰা আদিম নামক এক ফকিয়ের সাক্ষাৎ পাইয়া তিনি তাহাকে তাহার পলায়ন বৃত্তান্ত জ্ঞাপন করিলেন। এরূপ দেশ আছে, যেখানে মুসলমানেয়া স্বাধীনভাবে তাহদের ধৰ্ম্ম আচরণ করিতে পারে না শুনিয়া, বাবা আদিম সাধক্ষ্মীগণের ধৰ্ম্মাচরণে স্বাধীনতা লাভ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন এবং শত সহস্ৰ অস্ত্ৰে সজ্জিত অনুচর সংগ্ৰহ করিয়া বিক্রমপুর যাত্ৰা করিলেন। পথে নানা বাধা বিস্ত্র অতিক্রম করিয়া, তিনি সদলবলে বল্লাল সেনের রাজধানীর নিকট উপস্থিত হইলেন এবং সেখানে একটি মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিয়া মুসলমান ধৰ্ম্মেয় নিত্য নৈমিত্তিক ক্রিয়া কলাপ প্ৰকাশ্য ভাবে অনুষ্ঠান করিতে লাগিলন। অনেক গো, বৃষ নিহত হইতে লাগিল এবং নেমাজ পড়িবার পূৰ্ব্বে সাধক্ষ্মীগণকে মসজিদে হাজির করিবার আহবানদ্বনি রাজার প্রাসাদ মধ্য হইতে শুনিতে পাওয়া যাইত । বল্লাল সেন রাগে অগ্নিশৰ্ম্ম হইয়া উঠিলেন। তিনি আগন্তুকদের নিকট দূত দ্বারা বলিয়া পাঠাইলেন,-“হয় তোমরা এস্থান ত্যাগ করিয়া চলিয়া যাও ; ; নিচেৎ হিন্দুগণের ধৰ্ম্মবিরোধী আচার অনুষ্ঠান হইতে বিরত হও ” কিন্তু বাবা আদম, অসংখ্য অনুচরের সাহায্যে উৎসাহিত হইয়া রাজাকে উদ্ধতভাবে উত্তর পাঠাইলেন,-“ঈশ্বর এক ‘ এবং একমাত্ৰ মহম্মদীয় ধৰ্ম্মই পৰিত্ৰ ধৰ্ম্ম । সেই ধৰ্ম্মানুযায়ী আচার আমরা অনুষ্ঠান করিব। বিধৰ্ম্মী বল্লাল লেন যাহা ইচ্ছা! করিতে পারে।” হিন্দু রাজা সৈন্য সামন্ত সংগ্ৰহ করিয়া বাৰা আমমেয় বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্ৰা করিলেম। রাজধানী ত্যাগ করিবার পূর্বে প্রাসাদের ভিতর এক বৃহৎ অগ্নিকুণ্ড নিৰ্ম্মিত করাইলেন। বলিয়া গেলেন, যদি তিনি যুদ্ধ ক্ষেত্রে পরাজিত হইয়া আর প্রত্যাবৰ্ত্তন না করেন, বিজয়ী মুসলমানদের হাতে পড়িলা,