পাতা:সাহিত্য-সংহিতা (নব পর্য্যায়, পঞ্চম খন্ড).pdf/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজাধিরাজ বৰ্দ্ধমানাধিপ বাহাদুরের প্রীতির নিদর্শন স্বরূপ উপহৃত গ্রন্থগুলি ক্ৰমে ক্রমে একটী হ্রস্বাবয়ব লাইব্রেরীর আকার ধারণ করিতেছে। অথচ সে আজ বেশীদিনের কথা নয়-যখন ইহাদের প্রথমখানি আমাদিগের অতি সামান্য রকম বঙ্গসাহিত্যগ্ৰন্থসংগ্রহের দলপুষ্টি করে। এই গ্ৰন্থাবলীর মধ্যে সাহিত্যের প্রায় সকল বিভাগেরই প্রতিনিধি বর্তমান । ইহার মধ্যে গীতিকবিতা আছে, নাটক আছে, উপদেশাত্মক পত্র।রাজিও আছে। কিন্তু সকল রচনার মধ্যে একটী সুরের রেশ স্পষ্ট অনুভব করা যায়-সোঁটী সাত্বিকতার ম্বর, সেটী সাধকের প্রাণ। সাহিত্যের প্রধান আকর্ষণ যদি তথ্য বা তত্বসংগ্রহে না থাকে, সাহিত্যের প্রয়োজনীয়তা যদি কেবলমাত্র বাস্তবের অনুকরণে নিঃশেষিত না হয়, এবং একথা যদি সত্য হয়-যে সাহিত্যের সার্থকতা সাহিত্য শ্ৰষ্টার ব্যক্তিত্বের পরিস্ফুটনে, তাহা হইলে নিঃসংশয়ে বলা যায়, যে বৰ্দ্ধমান মহায়াঙ্কের এই সকল সৃষ্টির স্থান সাধারণ সাহিত্য ক্ষেত্র হইতে স্বতন্ত্র এবং বিশিষ্ট । কারণ, এই সকল গ্রন্থে যে ব্যক্তিত্ব, যে চরিত্র মুকুরিত হইয়াছে, সচরাচর তাহার প্রতিরূপ পাওয়া যায় না। কৰি অথচ সাধক, লক্ষ্মীর বরপুত্র অথচ বাণীর । সেবক, অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিকারীর অন্তরে বৈদাস্তিকের বিরক্তি-আজকাল এমনটী কোথায় দেখিয়াছেন f এরূপ মণিকাঞ্চন সংযোগ সচরাচর ঘটে নাবাঙ্গালী পাঠক সমাজের এরূপ সংযোগ দেখিবার এবং দেখিয়া ধন্য হইবার cलीडांश ब्रिांट ।