পাতা:সাহিত্য-সংহিতা (নব পর্য্যায়, পঞ্চম খন্ড).pdf/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাস্তান, চৈত্র, ১৩২৩ । ] বৰ্দ্ধমান-ভারতী । 8Yኃ°ች8 তঁহাকে ছাড়িয়া দিলে কোন রসসাধনই সার্থক হইতে পারে না।” কাব্যস্থষ্টিয়া জন্য সৰ্ব্বত্র সকলক্ষেত্রে সকল রাসাকারের, সাধন অপরিহাৰ্য্য কিনা বলিতে পারি? না ; আধ্যাত্মিক সাধনা ব্যতিরেকে রসসাহিত্য জন্মিতে পারে। কিনা, সে সম্বন্ধেও: কোন সিদ্ধান্ত নির্দেশ করিতে আনি অপারগ। এরূপ অব্যভিচারী কাৰ্য্য, কারণ সম্বন্ধ প্ৰতিপন্ন করা যে কতদূর সম্ভব তাহাও বুঝিতে পারি না ; তবে বৈষ্ণবকবিদিগের মত অনেক উৎকৃষ্ট কবির জীবনে যে বাস্তবপক্ষে, "এরূপ: সম্বন্ধ দেখা যায় তাহ অবশ্য স্বীকাৰ্য্য। মহারাজাধিরাজের কবিতা গ্রন্থের । উৎপত্তি যে এই দ্বিবিধ সাধনার মিলনের ফল, তাহা, তাহার, যে কোন গ্ৰন্থ श्rउछे ज्oछे ७थभां कब्र शांग्र । কল্পকলার স্বরূপ সম্বন্ধে একজন ইংরাজী সমালোচক বলিয়াছেন, . Art is life seen. through a temperament, efie বিশিষ্ট প্রকার।. অন্তঃকরণের: সাহায্যে সংসারপর্যবেক্ষণের ফল কল্পকলা । সংসারের ঘটনাবলি আমরা সকলেই তা অবলোকন করিতেছি, আমাদের প্রত্যেকেরই মানসফলকে উহার প্ৰতিফলিত হইতেছে। অথচ সাধারণ জনের এই অভিজ্ঞতার ফল কল্পকলা * নামে কেন পরিচিত হয় না ? ইহার কারণ, সাধারণ লোকের বৈশিষ্টের অভাব । ” এই বৈশিষ্ট্য যত চিত্তাকর্ষক হয়, চরিত্র যত মহনীয় হয়, অন্তঃকরণ যত অমল ও • সৌন্দৰ্য্যগ্ৰহণপর হয়, কল্পকলাও তত রসজ্ঞের হৃদয় সরলে হরণ করে। রঙ্গীন কাচের ভিতর দিয়া দেখিলে জগৎ কাচের রঙ্গ দেখায়"। পাত্রের আকার ও বর্ণের গুণে জলের যেমন বর্ণ ও আকারের পরিবর্তন হয়, ইহাও সেইরূপ । এই জন্যই বলিয়াছি, সাহিত্যের প্রধান শোভা-সাহিত্য স্রষ্টার ব্যক্তিত্বের বিকাশ। ভাষা মানুষের ভাবপ্ৰকাশের জন্যই প্ৰবৰ্ত্তিত হইলেও, ভাবগোপনের জন্য তাহার ব্যবহার বিরল নহে। কিন্তু মহারাজাধিরাজের কবিতায় ও নাটকে আত্মগোপন নাই, আত্মপ্রকাশ আছে, আত্মসঙ্কোচ নাই, আমিত্বের প্রসার আছে। আবার এরূপ সরলভাবে, নিঃশঙকচিত্তে আপনাকে বিলাইয়া, দেওয়া, রচনার মধ্যে নিজেকে ঢালিয়া দেওয়া তাহাতেই সম্ভব, যাহার অন্তঃকরণে গোপনীয় কিছু নাই, যাহার মানস্ক্ষিত্ৰিদ স্বভাবতঃই পবিত্র ও সৎপথচারিণী। পৰ্ব্বতের শিরোভাগ হইতে নির্দিষ্ট চিত্তে উদয়াওঁ কেহ কখন নীল গগনের পরিবর্তনবিলাস লক্ষ্য কবিয়াছেন; কিনা জানিঃ