পাতা:সাহিত্য-সংহিতা (নব পর্য্যায়, পঞ্চম খন্ড).pdf/৪৯৮

“$8ጝ8 DDDSDDDDSS LLD iLSDtBBD EBELS হইলেন। বিপজীক, হুইবার পর এই মহাপুরুষ যখন অনন্যমনে শুমাচরণ ধ্যামনিরত ছিলেন, তখন মহারাজ তেজশ্চন্দ্ৰ নিজ পুত্রের যৌবন সুলণ্ড নানায়ািপ দুষ্ট আচার দেখিয়া তাহাকে রাজবাটীতে আহবান করেন, এবং তাহার, পুত্রের অবনতি যে তাত্রিক সাধকের সংসর্গে ঘটিতেছে এরূপ মত প্রকাশ করেন । ইহাতে কমলাকান্ত যৎপরোনাস্তি বিরক্ত হন-এবং দৃঢ়তা ও • তেজস্থিতা সহকারে মহারাজকে সাধকের সাধনার এরূপ অবমাননা করিতে নিষেধ করেন । কমলাকান্তের অধীরতায় মহারাজাধিরাজ মৃদুহাস্যসহকারে কেবল বিস্ময় প্ৰকাশ করিলেন-তাহার মত সাধকের অল্পে। এতদূর বিচলিত হওয়া অনুচিত। রাজা ও সাধকের জীবনের তুলনা করতঃ তিনি বলিলেন“কমলাকান্ত, তোমরা সাধক, কিন্তু আমাদের অপেক্ষা অনেক নীচু সিংহাসনাধিকারী। তোমরা নিজে মুক্ত হয়ে যেতে পারলেই বঁাচ, তোমাদের ক্ষুদ্র প্রাণ আপনার -গতির জন্যই ব্যস্ত, আর আমরা যোগভ্ৰষ্ট যোগী হয়ে, নিজের লক্ষ্যপথ পালকে ‘পলিকে দেখতে পেয়েও, এই ধৰ্ম্মের সংসার রক্ষার জন্য, এই একটী রাজ্যের নাম দিয়া সেই বিশ্বেশ্বরেরই লক্ষজীবের দুঃখতাপ বিমোচন জন্য, তার মহাভাণ্ডার হাতে মুক্ত হন্তে দিতে এসেছি । তঁর । উদ্দেশ্য সাধন জন্য নিজ মুক্তি করতলগত হলেও পিঞ্জরাবন্ধ থাকি।” পরে প্রথমতঃ বংশোয় অমঙ্গলসূচক একটি স্বপ্নের কথা বিবৃত করেন । পুত্রের "বিপথগামিতার ফলে বংশের ধারা রক্ষায় যে রিপিদের সুত্রপাত হইয়াছে, তাহার নিৰায়ণের জন্য তাহার পিতৃদেব পুনরায় ৷ দেহ পরিগ্ৰহ করিতে সংকল্প করিয়াছেন-স্বপ্নের মন্ত্র এইরূপ। কিন্তু প্ৰতাপচন্দ্রের উদ্ধারের আশা অলীক। ‘তাঁহার বাহ সুরাসেবনের তলে ঘোর তান্ত্রিকতা বিদ্যমান।. তাই পিাতায় নিৰ্ব্বন্ধে সংসারে আৱদ্ধ হইবার প্রয়ত্ব মাত্রেই তাঁহায় আত্মা ‘হঁতৰুহপরীত” গৃহের মত: দেহত্যাগে উদ্যুক্ত হইল ।। ভ্ৰাতৃসম প্ৰেমাস্পদ কমলাঘকান্তেয় ভালবাসাও তীহাকে বিৱত করিতে পারিল না। এমত সময়ে চিয়বৈরী পরাণচজের বয়ে বর্ধমামের ভাবী অধীশ্বরের জন্মবার্তা শুনিয়া তিনি মৰ্ম্মাহত হইলেন, এবং আক্ষেপ করিয়া বলিলেন, যে “কোন বারেই রাজা আন্তঃপুরে রাজকুমাত্র হয়ে জন্মান পদমর্যায়ের ললাটে লেখা নাই ।” অমাবস্তার তৃতীয় ৰামই বে উটাহয় তন্মত্যাগের কাল” তাহাও ব্যক্ত করিলেন। “বৈষ্ণব.যোগী তেজচন্ধ,