পাতা:সাহিত্য-সংহিতা (নব পর্য্যায়, পঞ্চম খন্ড).pdf/৫১৭

ফাগুন, চৈত্র, ১৩২৩ ] প্ৰাণী ও উদ্ভিদের বৃদ্ধি । ss 9 কম হয়। পৃষ্ঠদেশ দিয়াই কোষের ভিতরে পুষ্টিকর দ্রব্য প্ৰবেশ করে, তাহাঁই কোষগুলিকে জীবিত রাখে। কাজেই ভিতরের কোষ সামগ্রীর তুলনায় পৃষ্ঠা দেশের পরিমাণ অল্প হওয়ায় কোষের মধ্যে প্রয়োজনানুযায়ী পুষ্টিকর দ্রব্য প্ৰবেশ করিতে পারে না, ইহার ফলে অতিরিক্ত স্ফীত কোষগুলির বৃদ্ধি রোধ পাইয়া যায়। কিন্তু, বৃদ্ধি রোধ পাইলে ও কোষস্থ জীব সামগ্রীর পুষ্টির প্রয়োজন থাকে, এবং এই প্রয়োজন সিদ্ধির জন্য প্রত্যেক কোষ দ্বিধা বিভক্ত হইয়া আবশ্যক মত খাদ্য সংগ্ৰহ করিতে আরম্ভ করে। এই প্রকারে একটি কোৰ হইতে ক্ৰমে দুইটী চারিটি আটটি ইত্যাদি কোটি কোটি কোষের উৎপত্তি হয়, এবং সঙ্গে সঙ্গে জীবের দেহ ও বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হয়। প্ৰাণী ও উদ্ভিদের দেহ বৃদ্ধি পাইতে পাইতে এক একটি নির্দিষ্ট সীমায় পৌছিলে কেন আয় অধিক বাড়ে না, পূর্বোক্ত ব্যাপারটি হইতে তাহা কতকটা বুঝা যায়। জীবতত্ত্ববিদগণ বলেন, যে সকল ক্ষুদ্র কোষের সংযোগে জীবের দেহ উৎপন্ন হয় সেগুলি যখন বৃদ্ধির সীমায় আসিয়া দাড়ায়, তখন দেহ ও বৃদ্ধির সীমায় আসিয়া পৌছায়। বলা বাহুল্য রাসায়নিক দিগের এই উক্তিটি সম্পূর্ণ অনুমানমূলক। মানুষ উন্নত বুদ্ধি এবং জানের সাহায্যে অনেক প্রকার ব্যাপারের কারণ নির্দেশ করিয়াছে।" সত্য কিন্তু তথাপি এখন ও এমন শত শত ব্যাপার রহিয়াছে যাহার কারণ নির্দেশ মানুষেয় EBB BD DDD SS DBDDBD DBBBDB DBBDtttB BDDDB DDu স্বীকার করিতে হয় । 曾 জীবের দেহ, কখনই বিশৃঙ্খল ভাবে বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হয় না ; প্রত্যেক অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গ এক একটি নিয়ম মানিয়া বাড়িতে আরম্ভ করে। কোথায় কোন ঘরটি এবং কোথায় কোন কোন দরজাট খাকিবে তাহা মনে রাখিয়া যেমন রাজ মিস্ত্রী ধীরে ধীরে একটি বৃহৎ বাড়ী প্ৰস্তুত করিয়া ফেলে, জীব দেহের গঠন ও যেন সেই প্রকায়। মানুষের হস্তদ্বয় অপরিপুষ্ট রহিল, অথচ সমগ্ৰ দেহ সম্পূর্ণ পরিণতি লাভ করিল ; কিংবু নাসিকা হঠাৎ ভয়ানক বাড়িয়া পড়িল, অথচ দেহ ক্ষুদ্র রহিল ; এই প্রকার উদাহরণ দুৰ্ল্লভ। সকল অঙ্গ প্রত্যদের সহিত সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়া প্রাণী ও উদ্ভিদগণের বৃদ্ধি বড়ই আশ্চৰ্যজনক। আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণ এই বিষয়টি লইয়া ও গবেষণা করিয়াছেন, এবং ইহা হইতে ব্ৰাহী জানা গিয়াছে তাঁহা-অভীৰ “বিস্ময়কয়। প্রাণিদেহের নানাস্থানে gland নামেৰৈ’বিশেষ মাংসপিণ্ড থাকে