পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ベベ қ মা' প্রকাশ ৯৯ তাহার দ্বারায় কিঞ্চিমাত্রও পরিচালিত হয় তাহাতেও ব্যক্তিগত ও সমাজগত মঙ্গল আছে। আমরা জানি এবং যাহারা বঙ্গভাষার বর্তমান পরিপুষ্টির কারণ অনুসন্ধান করিয়াছেন ও করিতেছেন র্তাহারাও জানেন যে প্রবোধচন্দ্রোদয় হইতে আধুনিক নব্য ভারত ও সাহিত্য পৰ্য্যন্ত পত্রিকার প্রচারে কত শত ইংরাজীতে শিক্ষিত যুবকবৃন্দের জাতীয় বিতৃষ্ণা ও অবজ্ঞা সত্ত্বেও বঙ্গভাষার প্রতি মতি গতি ফিরিয়াছে—বাঙ্গালী গ্রন্থ পাঠে স্পৃহা হইতেছে—বঙ্গভাষায় রচনা করিতে সাধ হইতেছে—সৰ্ব্বাধিক স্বখের কথা—বঙ্গভাষাকে প্রীতির চক্ষে দেখিতে অভ্যাস হইতেছে। পত্রিকার সৌভাগ্য যত হউক না হউক, বঙ্গভাষার প্রচুর মঙ্গল সাধিত হইতেছে। স্বতরাং স্বদেশের ও স্বজাতির মঙ্গল বই আর কি বলিব। ইহার হেতু অনুসন্ধান করিলে দেখিতে পাই যে পূর্বগামী পত্রিকার সম্পাদকের কিছু আর লোকের হাতে ধরিয়া তাহদের মতি গতি পরিবর্তন করেন নাই বা তাহদের হাত ধরিয়া তাদের লেখক করিয়া দেন নাই। সম্পাদকেরা আপনাদের বিদ্যা বুদ্ধি ও যত্নে যতদূর সম্ভব ভাষার উন্নতি পক্ষে সচেষ্ট হইয়াছিলেন, দশটা ভাল কথা—দশট। উচ্চ ভাব বঙ্গ ভাষায় প্রকাশিত হইতে লাগিল—তাহ দেখিয়া শিক্ষিত লোকের দৃষ্টি বঙ্গভাষার প্রতি আকৃষ্ট হইতে লাগিল। লোকে বুঝিল যে চেষ্টা করিলে নির্জীব অসার বঙ্গভাষায়ও, মহৎ চিন্তা বা মধুর ভাব প্রকাশ করা যায়। মাতৃভাষী সহজেই বাঙ্গালীর হৃদয়ের ভাষা। ইংরাজী ভাষায় যত বড় পণ্ডিত হউন না কেল, পরভাষা অপেক্ষ আপন ভাষায় হৃদয়ের ভাবগুলি প্রকাশ করিতে পারিলে অপেক্ষাকৃত স্থখবোধ করেন তাহাতে সন্দেহ নাই। বঙ্গভাষার ফুৰ্ত্তির অভাবেই লোক ইংরাজিতে মনোভাব প্রকাশ