পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ জীবন శ్రీ হা হতাশের নিরাশায় নিখিল জগতের জনকজননীর জ্যোতিৰ্ম্ময় অমৃতধামে সমুখান করিয়াছেন । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ব্যাখ্যানে আছে যে, “ঈশ্বরভক্তের হৃদয় কি মধুময়, কি কোমল ; স্তাহার ধৰ্ম্মসাধন কি কঠোর”—ইহার দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে দুর্লভ ; কিন্তু ঐ দিব্যধাম-প্রয়াত মহাত্মাতে আমরা তাহা সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ করিয়া নয়ন মন সার্থক করিয়াছি । তাহার যেরূপ বিদ্যাবৃদ্ধি শীলসৌজন্য এবং লোকের মন আকর্ষণের ক্ষমতা ছিল তাহতে তিনি উচ্চপদের রাজকৰ্ম্ম হাত বাড়াইলেই পাইতে পারিতেন ; সাধারণ লোক-সমাজে তিনি একজন প্রধান দলপতির সিংহাসন পাইতে পারিতেন ; কিন্তু সেদিকে তিনি যান নাই ; তিনি ব্রাহ্মধৰ্ম্মকেই জীবনের সার করিয়াছিলেন । সংসার-সাগরে তাহার ক্ষুদ্র দেহতরা রোগে জর্জরিত হইতেছেশোকের তরঙ্গে অনবরত আহত হইতেছে—কিন্তু তাহার মুখের ভাব এক মুহূর্ভের জন্যও আমরা বিকৃত হইতে দেখি নাই । যাহাকে তিনি পাইতেন তাহার প্রতিই তিনি সৌহাৰ্দ্ধ-পাশ বিস্তার করিতেন— BBBS BBB BB BBS BB BBBB B BBBB BBBS র্তাহার নিকটে শীতল হইতে গিয়াছি তখন আমরা তােহর প্রসন্ন বদনে স্বগীয় হাস্য দেখিয়াছি—অথচ তিনি রোগশয্যায় পড়িয়া আছেন এবং উহার চারদিকে শোকের বায়ু বহিঙেছে । তাহার রোগাক্রান্ত মৰ্ত্ত শরীরের আড়াল হইতে কি যে এক অমূল্য স্বৰ্গীয় প্রেমময় জ্যোতিৰ্ম্ময় বস্তু নিরস্তুর প্রতিভাiসত হইত তাই সহস্র চেষ্টা করিয়াও লেখনী দ্বারা ব্যক্ত হইবার নহে। যিনি দুই মুহূর্জের জন্য র্তাহার সংসঙ্গের আনন্দ উপভোগ করিয়াছেন তিনি আজীবন তাহাতে মুগ্ধ হইয়া রহিয়াছেন—তাহা মুখে বলিয়া অন্তকে বুঝানো র্তাহার সাধ্যাতীত । অতএর নবপ্রয়াত মহাত্মার আশ্চর্য অমায়িক অকৃত্রিম হৃদয়ের গুণসকল প্রকাশ করিয়া বলিবার চেষ্টায়ু ক্ষাজ্ঞ থাক।