পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३$ মনোমোহন বস্তু বঙ্কিম-যুগে সাহিত্য চর্চায় প্রবৃত্ত হইয়াও মনোমোহন বাৰু নিজ সাধনা ও শক্তিবলে সাহিত্যক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিলেন, গদ্য ও পন্থ রচনায় সমান কৃতিত্ব দেখাইয়াছিলেন । তৎপ্রণীত সতী নাটক, হরিশ্চন্দ্র, রামাভিষেক, প্রণয়পরীক্ষা, রাসলীলা প্রভৃতি নাটক র্তাহার শক্তিমত্তার পরিচায়ক । রসাবতারণায়, বিশেষতঃ করুণ ও হাস্যরসের অবতারণায় তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন । ছিলেন । তঁহার নাটক পড়িয়া ও উহার অভিনয় দেখিয়া বাঙ্গালী হাসিয়াছে এবং কাদিয়াছে। তিনি স্বপ্রণীত নাটকসমূহের নূতন চরিত্র চিত্রিত করিয়৷এবং পৌরাণিক পুরাতন চরিত্র নূতন বর্ণরাগে রঞ্জিত করিয়া নাট্য-প্রতিভার পরিচয় দিয়াছেন। ‘সতী-নাটকে’র শাস্তে পাগলা, ‘রামাভিযেকে’র দশরথ সাহিত্যে প্রেমভক্তি প্রীতির অপূৰ্ব্ব চিত্র উদঘাটিত করিয়াছে। তৎপ্রণীত "লিন' উপন্যাস পাঠে বঙ্গের অনেক পাঠক মুগ্ধ হইয়াছেন । মনোমোহন স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ স্বদেশবংসল হিন্দু ছিলেন। তিনি নিজ ধৰ্ম্ম ও সমাজকে কি চক্ষে দেখিয়াছিলেন, কি ভাবে বুঝিয়াছিলেন আর কেমন করিয়াই বা সেই সমাজের মস্তকে ধৰ্ম্ম ও মহিমার মুকুট পরাইতে চাহিয়াছিলেন, তাহ পাঠক তাহার “হিন্দু আচার ব্যবহার” ও “বক্তৃতামালা পাঠ করিলে বুঝিতে পারিবেন। বঙ্কিমচন্ধের স্ববিখ্যাত "বঙ্গদর্শন” বাহির হইবার পূৰ্ব্বে মনোমোহন বাৰু "মধ্যস্থ” নামে একখানি সাপ্তাহিক পত্রের প্রচার করিয়া জনসমাজে যশস্বী ও সাহিত্যক্ষেত্রে সুপরিচিত হন । মনোমোহন বাবু একরূপ অনন্যসহায় হইয়াই এই সংবাদপত্র সম্পাদন ও পরিচালন করিতেন। ‘মধ্যস্থ’ সম্পাদন কর্য্যে গুরুতর পরিশ্রম করিয়া পরিশেষে তিনি