পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-(ক্ষত্রে আত্মপ্রকাশ রেঙ্গুমে অবস্থানকালে আস্ত্রীয়বন্ধুর আগ্রহাতিশয্যে শরৎচন্দ্র সাহিত্যক্ষেত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তাহার প্রথম মুদ্রিত রচনা—১৩১০ সালের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত কুন্তলীন পুরস্কার ১৩১৯ ম’ পুস্তকের ‘শ্নঙ্গির’ নামে একটি গল্প। ব্ৰহ্মদেশ যাত্রার অব্যবহি তিনি সম্পৰ্কীয় মাতুল ঐশ্বরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম কুস্তলীনপুরস্কার-প্রতিযোগিতায় পঠাইয়াছিলেন (মাঘ ১৩৭৯)। বলা বাহুল্য, গল্পটি প্রথম স্থান অধিকার করিয়া ২৫ টাকা পুরস্কার লাভ করে। সে-বার পুরস্কৃত রচনাগুলির প্রথম দশটি নির্বাচন করিয়া দিয়াছিলেন--তৎকালীন ‘বসুমতী’-সম্পাদক জলধর সেন । ইহার চারি বৎসর পরে—১৩১৪ সালের বৈশাখ-আষাঢ় সংখ্যা ‘ভারতী’তে শরৎচন্দ্রের একটি অপরিণত বয়সের রচনা--"বড়দিদি" নামে , উপন্যাস প্রকাশিত হইলেও, মাসিকপত্রের পৃষ্ঠায় তাহার প্রকৃত আবির্ভাব যে ফণীন্দ্রনাথ পাল-সম্পাদিত যমুনা পত্রিকায়, এ কথা নিঃসঙ্কোচে বলা চলে। শরৎচন্দ্রের অন্ততম সম্পৰ্কীয় মাতুল শ্রীউপেন্দ্র নাথ গঙ্গোপাধ্যায় (পরে ‘বিচিত্রা’-সম্পাদক) ছিলেন ‘যমুনা-সম্ৰ দুকের বিশিষ্ট বন্ধু ; তাহারই মধ্যস্থতায় শরৎচন্দ্র যমুনা’য় লি ও স্বীকৃত ছন। ‘যমুনা'র পৃষ্ঠায় প্রকাশিত শরৎচন্দ্রের প্রথম রচনা—“বোঝ। নামে একটি গল্প (কাৰ্ত্তিক-পদ্ধ ১৩১৯)। ইহাও উহার অপরিণত বয়সের রচনা | শরৎচন্দ্রের প্রথম বয়সের রচনাগুলি ভাগলপুরে তাছার সম্পৰ্কীয় মাতুলদের নিকট ছিল। এই সময়ে তাহার শরৎচন্দ্রের এই সকল প্রাথমিক রচনা যাহাতে লোকচক্ষুর গোচরীভূত হয়, তাহার জন্ত বিশেষ