পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎচন্দ্রের পত্রাবলী § a S [ মার্চ ১৯১৬ ] আপনার পত্র পাইয়াছি । কিন্তু আজকাল সপ্তাহে মাত্র একখানি করিয়া জাহাজ যায় বলিয়া জবারে এত দেরি হইল। আমার অসুখের কথা শুনিয়া আপনি যাহ লিখিয়াছেন, আমি বোধ করি তাহা কল্পনা করিতেও ভরসা করিতাম না । অস্তরের সহিত আশীৰ্ব্বাদ করি, দীর্ঘজীবী এবং চিরসুখী হোন। ভগবান আপনাকে কখনো যেন কোন বিশেষ দুঃখ না দেন । আমি পীড়িত—এখানে সারিবে বলিয়া আর ভরসা করি মা ! দেহের আর সমস্ত বজায় রাখিয়াও জগদীশ্বর আমাকে যদি পঙ্গু করিয়াই শাস্তি দেন—তাই ভাল ! মাঝে মাঝে মনে করি বোধ করি আমার চলিয়া বেড়ানো শেষ হইয়াছে বলিয়াই তিনি প ফুট বন্ধ করিয়া এবার শুধু হাত দিয়া কাজ করিতেই বলেন। তবে, এর একটা দোষ এই যে হজম করিবার শক্তিও নাশ হইয়! আসিতে থাকে । এইটাই কোন স্বাস্থ্যকর স্থানে থাকিয়া পোমাইয়! লওয়া চাই । আপনি আমাকে যাহা দান করিতে চাহিয়াছেন, সেই আমার যথেষ্ট । এই এক বৎসরের মধ্যে যদি মরিয়া না যাই, তাহ হইলে হয়ত বা টাকা কড়ির দেলাটা শোধ হইতেও পারে—অবশ্য কৃতজ্ঞতার দেন ত শোধ হইবার নয়।...আমি এক বৎসরের ছুটি লষ্টয়াই যাইব । যে মেলের টিকিট পাইতে পারিব, তাহাতেই চলিয়া যাইবার আস্তরিক বাসনা । আপনি আমাকে ৩০০ তিন শ টাকা পাঠাইয়া দেবেন । তাহা হইলেই বেশ যাইতে পারি ... এই হতভাগা স্থানটা পরিত্যাগ করিয়া আপনার আমার জন্য এই