পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎচন্দ্ৰ :ষ্ট্ৰপ’ :য় নূতন প্রোগ্রাম শ্ৰীপরশুরাম* শরৎবাবুর সংপুর অভিভাষণের উত্তরে চরকা লইয়া কথা কাটাকাটি হুইয়া গেল বিস্তর, আজও তার শেষ ছয় নাই। প্রথমে চরকা-ভক্তের দল প্রচার করিয়া দিলেন, তিনি মহাত্মাক্তির টিকিতে চরকা বাধিবার প্রস্তাব করিয়া: এতবড় একটা অমৰ্য্যাদাকর উক্তি অভিভাষণে ছিল না, ক্ষি তা বলিলে কি হয়,--ছিলই । না হইলে আর ভক্তের বেদন প্রকাশের সুযোগ মিলিবে কি করিয়া ? কিন্তু শরৎবাবু নিজে যখন নীরব, তখন আমার মতন একজন সাধারণ ব্যক্তির ওকালতি করিতে যাওয়া অনাবশ্বক। নিজের মাথায় টিকি নাই, কেছ যে ধরিয়া রাগ করিয়া বাধিয়া দিবে, সেও পারিবে না, সুতরাং এদিকে নিরাপদ । কিন্তু অভিভাষণে কেবল টিকিই তো ছিল না, চরকাও ছিল যে, অতএব বৈজ্ঞানিক প্রফুল্লচন্দ্র ঢাকা হইতে দ্রুতগে গেলেন মানভূমে, এবং প্রতিবাদ করিলেন যুব-সমিতির সলিন । ঠিকই হইয়াছে ; ওটা যুব-সমিতিরই ব্যাপার। তরুণ বৈজ্ঞানিক বুড়া সাহিত্যিকের গুণমাক খাওয়ার বিরুদ্ধে ঘোরতর আপত্তি জানাইয়া ফিরিয়া আসিলেন, সকলে একজনকে ধন্য ধন্স এবং অপরকে ছি ছি করিতে লাগিল, তথাপি ভরসা হয় না যে, তিন তিন কাল পার করিয়া দিয়া অবশেষে এই শেষ কালটাতেই তামাক ছাড়িবেন । • ‘গম্ভালিকা’ প্রভৃতির লেখক পরশুরামের সহিত এই প্রবন্ধের কোন ফলম্বন্ধ নাই ।