পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}t: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যা বহু যত্বে প্রস্তুত করেছেন। জাহাজে বোঝাই দেওয়া হয়েছে,-- এলো বলে । তার ছোট বড় কত চাকা, কত দণ্ড, কত কলকব্জা, কোনটা কোন দিকে ঘোরে কোন দিকে ফেরে কোন মুখে এগোয়ু আমরা কেউ ঠিক জানিনে । এবং মূল্য তার শেষ পর্য্যন্ত যে কি দিতে হবে, সে ধারণাও কারও নেই। যত্ন" মরে মাঝে শুধু খবর পাওয়া যেত, এদেশ থেকে ওদেশে বহু বুদ্ধিমান চালান দেওয়া হয়েছে, বুদ্ধি দেবার জন্তে । কি বুদ্ধি তারা দিলেন, সে স্বল্পতত্ত্ব আমরা সাধারণ মানুষে বুঝিনে, কেবল এইটুকু বোঝ গিয়েছিল, এক পক্ষ তারস্বরে অনেক চীৎকার করেছিলেন ও নূতন যন্ত্রে তাদের কাজ নেই এবং অপর পক্ষ ধমক দিয়ে বলেছিলেন, আলবৎ কাজ আছে—চচিও না। অতএ কাজ আছে শেষ পৰ্য্যন্ত স্বীকার করতেই হ’লো। অনেকের শা, সেটা নাকি মন্তবড় আকমাড় কলের মতো । তার এক - ক জমা হবে ছিবড়ে, অন্ত দিকে রস। শেষেরটা পাত্রে সঞ্চিত ই কান্‌ দিকে চালান যাবে, সে প্রশ্ন শুধু বাহুল্য নয়, হয়তো বা বৈধ । ভয় আছে। তথাপি প্রশ্ন করা চলে। রাষ্ট্রব্যবস্থায় । বিশ্বাসই কি হয়ে দাড়ালো সকলের বড় ? আর মহিষ হ'লে ছাট ? যে ব্যবস্থা জগতের কোথাও নেই, কোথাও কল্যা য় নি, এই দুৰ্ভাগ্য দেশে তাই কি হ’লে Special and pec r circumstances ? আর সে কেউ বোঝে নী—মাবালকের rusteeল্প ছাড়া ? কিন্তু এ হ'লে Politics, এ আলোচনা করবার ভার নেই আমার উপর। এ বিষয়ে স্বারা ওয়াকিবহাল, তারাই এ তত্ত্ব বুঝিয়ে দেবার যোগ্য পাত্র । আমি নয়। তবুও পরিশেষে একটা কথা বলে রাখি। কারে কারো ধারণা—আমরা বিলেতে memorial পাঠিয়েছি সুবিচারের আশায়। সে বিশ্বাস আমাদের কারও নেই, আমরা পাঠিয়েছি অন্যায়ের প্রতিবাদ । নূতন শাসনব্যবস্থার আগাগোড়াই মন্দ । সেই অপরিসীম মদের মধ্যেও বাঙলার ছিদূর ক্ষতিগ্রস্ত হলে সবচেয়ে বেশি। . আইনের পেরেক ঠুকে তাদের ছোট করা হলো