পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরকারী চাকুরী ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ : কলিকাতা গবর্মেন্ট সংস্কৃত কলেজ হইতে বাহির হইয়া সৌভাগ্যক্রমে অল্প দিনের মধ্যেই এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যাসাগরের চাকুরী জুটল। ৯ নবেম্বর ১৮৪১ তারিখে মধুসূদন তর্কালঙ্কারের মৃত্যু হইলে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের বাংলাবিভাগের সেরেস্তাদারের পদ শূন্ত হয়। ঈশ্বরচন্দ্র সেই পদের প্রাণী হইলেন। বিলাত হইতে যে-সকল সিবিলিয়ান এদেশে চাকুরী করিতে আঁসিতেন, তাহাদিগকে প্রথমে কলিকাতায় থাকিয় ফোর্ট উইলিয়ম কলেঞ্জে বাংলা, হিন্দী প্রভৃতি দেশীয় ভাষা শিক্ষা করিতে হইত ; পরীক্ষায়ু উৰ্ত্তীর্ণ হইলে তাহার। ভিন্ন ভিন্ন জেলার শাসনকার্য্যের ভার পাইতেন। তখন ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের সেক্রেটরী ছিলেন ক্যাপ্টেম জি. টি. মার্শেল । গবর্মেণ্ট সংস্কৃত কলেজের সহিত র্তাহার ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল ; তিনি সংস্কৃত কলেজের ছাত্রদের বৃত্তি-পরীক্ষায় পরীক্ষক থাকিতেন, কিছু দিন (২৭ মার্চ ১৮৩৯–এপ্রিল ১৮৪০) ঐ প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটরীও ছিলেন। সুতরাং ঈশ্বরচন্দ্রের ছাত্র-জীবনের কৃতিত্বের সহিত পূৰ্ব্ব হইতেই তাহার পরিচয় ছিল। মার্শেল ঈশ্বরচন্দ্রের উচ্চ প্রশংসা করি বঙ্গীয় গুবর্মেন্টের নিকট এক সুপারিশ পত্র পাঠাইলেন (২৭ ডিসেম্বর ) । ২৯ ডিসেম্বর ১৮৪১ তারিখ হইতে বিদ্যাসাগর মাসিক ৫০ বেতনে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের বাংলাবিভাগের সেরেস্তাদার বা প্রথম পণ্ডিতের পদে নিযুক্ত হইলেন। বর্তমান বাংলার সর্বপ্রধান শিক্ষাগুরুর ইহাই কৰ্ম্মজীবনের अङ्गसु । ক্যাপ্টেন মার্শেল সেরেস্তাদারের কাজে খুশী হইয়া উঠিলেন।