পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

అఖీ • +, সাহিত্য-জীবন কপালকুণ্ডল মৃণালিনী লেখা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি ছিল কাহিনী। ইংরেজীতে যাকে বলে রোমান্স। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্র থেকে দূরে এদের ভূমিকা। সেই দূরত্বই এদের মূখ্য উপকরণ -বিষবৃক্ষে কাহিনী এসে পৌছল আখ্যানে । যে-পরিচয় নিয়ে সে এল তা আছে আমাদের অভিজ্ঞতার মধ্যে - প্রবাসী' আশ্বিন ১৩৩৮, পৃ. ৮-৬-৭। ইহার পর বঙ্কিমচন্দ্র যতগুলি উপন্যাস রচনা করিয়াছিলেন, তাহাজের কয়েকটি নামে ঐতিহাসিক উপন্যাস অথবা রোম্যান্স পর্য্যায়ে পড়িলেও, ইহাদের প্রত্যেকটি আসলে এই অভিজ্ঞতামূলক বাস্তবতাধৰ্ম্মী। তিনি প্রয়োজন মত কল্পনাকে অবাধ বিস্তার দান করিবার জন্য অতীত পরিবেশের সাহায্য লইয়াছেন সত্য, কিন্তু প্রাচীন পরিবেশের মধ্যেও বঙ্কিমের সমসাময়িক সমাজকে খুজিয়া বাহির করা কঠিন নহে। ‘ইন্দির’ ( ১৮৭৩ ও ১৮৯৩), ‘রাধারাণী’ ( ১৮৭৫ ), রজনী' ( ১৮৭৭ ), ‘কৃষ্ণকাস্তের উইল’ ( ১৮৭৮) নিঃসংশয়ে ੋੜ সামাজিক বাস্তব উপন্যাস ; যুগলাঙ্গুরীয়' (১৮৭৪ ), 'চন্দ্রশেখর (১৮৭৫ ) ও রাজসিংহ ( ১৮৮২ ও ১৮৯৩) রোম্যান্স হইলেও পূৰ্ব্ববর্তী রোম্যান্সের সহিত এক পৰ্যায়ভুক্ত নয়। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা হইতে ইহারে ভূমিকার দূরত্ব সত্বেও ইহাদের মুখ্য উপকরণ সেই দূরত্ব নয়। এই সকল উপন্যাসের মূল ঘাতপ্রতিঘাতের সহিত সমসাময়িক মানুষের । মনোজগতের সংঘাতের মিল আছে। চন্দ্রশেখর প্রভৃতি উপন্যাসে ইতিহাসের আশ্রয় তাহার বিশেষ প্রয়োজন ছিল না ; রামানন্দ স্বামী, চন্দ্রশেখর, প্রতাপ এবং রামচরণ র্তাহারই মানস পুত্র ; ইতিহাসের পটভূমিকায় তাহাদিগকে সজীবতা দিবার জন্তই বঙ্কিমচন্দ্র মীর কাসিমেৰু সহিত ইংরেজের সংঘর্ষ-কাহিনীকে অবলম্বন কৰিয়াছিলেন। নিতান্ত