পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা-শিক্ষা প্রচলন Rť: দেশীয় ভাষার ভিতর দিয়া প্রাথমিক শিক্ষা-বিস্তারের জন্য, আর্থিক অস্বচ্ছলতার অসুবিধাসত্ত্বেও, তিনি মাসিক ১৮৬৫ টাকা ব্যয়ে যঙ্গ বিহার উড়িষ্যার নানা স্থানে ১০১টি পল্লী-পাঠশাল স্থাপনের ব্যবস্থা করেন ( অক্টোবর, ১৮৪৪ )। এই সকল পাঠশালার জন্য শিক্ষক নিৰ্ব্বাচনের ভার ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের সেক্রেটরী মার্শেল ও বিদ্যাসাগরের উপর ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় পাঠ্য পুস্তক, শিক্ষক এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রভৃতির অভাবে হার্ডিঞ্জের প্রচেষ্টা আশাতুরূপ সাফল্য লাভ করে নাই। চারি বৎসর যাইতে না-যাইতেই পাঠশালাগুলির তত্ত্বাবধাযুক-বোর্ড অফ রেভিনিউ মন্তব্য প্রকাশ করিলেন,—“সফলতা অসম্ভব, বাংলা পাঠশালাগুলির আর কোন আশা নাই।” তাহার পর হইতে সাধারণের শিক্ষার জন্য সরকার আর বিশেষ কিছু করেন নাই। সাধারণের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার যে এক অসম্ভব কাজ নয়, ভারতবর্ষের অপর এক প্রদেশের শাসনকৰ্ত্ত সে-কথা প্রমাণ করিয়া দেখাইলেন । উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কতকগুলি নিৰ্ব্বাচিত জেলায়, ছোট লাট টমাস কর্তৃক ব্যবস্থিত দেশীয় ভাষায় শিক্ষা-প্রণালী যে অপূৰ্ব্ব সাফল্য লাভ করিয়াছে, ১৮৫৩ খ্ৰীষ্টাব্যের প্রারম্ভে তৎসম্বন্ধীয় রিপোর্ট বড় লাটের হস্তগত হইল। বঙ্গ ও বিহারে এই প্রণালী প্রবর্হিত করা যে একান্ত বাঞ্ছনীয়, সে কথা কোর্ট অফ ডিরেক্টরদের তিনি বিশেষ করিয়া জানাইলেন এবং কর্তৃপক্ষের আদেশ পৌছিবার পূৰ্ব্বেই বাংল-সরকারকে ঐ বিষয়ে মতামত জানাইতে অকুরোধ করিলম ( ৪ নবেম্বর ১৮৫৩)। একটি স্বসম্বন্ধ বাংলা শিক্ষ-প্রণালী কি উপায়ে ভাল কবিয়া প্রতিষ্ঠিত এবং সুরক্ষিত করিতে পারা যায়, তৎসম্বন্ধে এক খসড়া তৈয়ারী করিবার জন্য বঙ্গীয় গবর্মেন্ট শিক্ষা-পরিষদকে লিখিলেন (১৯ নবেম্বর )। মাতৃভাষায় শিক্ষা-সম্বন্ধে অ্যাডাম সাহেবের রিপোর্ট এবং টমাসনের