পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* कृकsत्र बकूयहांद्र এ-পর্য্যন্ত বিজ্ঞাপনী পত্র ঢাকায় প্রকাশিত হইতেছিল। ১৮৬৬ খ্ৰীষ্টান্ধের প্রথম ভাগে বিজ্ঞাপনী যন্ত্র ঢাকা হইতে ময়মনসিংহে স্থানান্তরিত হইলে কৃষ্ণচন্দ্র এপ্রিল মাসে ঢাকা ত্যাগ করিয়া সপরিবারে স্বদেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন। ঢাকায় কৃষ্ণচন্ত্রের কৰ্ম্মজীবন কৃতিত্বে সমুজ্জ্বল। সেখানে তিনি শুধু যে কবিরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিলেন তাহা নহে, যোগ্যতার সহিত সাড়ে তিন বৎসর 'ঢাকাপ্রকাশ’ ও দেড় বৎসর বিজ্ঞাপনী’ পরিচালন করিয়া বিশেষ খ্যাতিরও অধিকারী হইয়াছিলেন। র্ত্যহার সম্পাদনা ও পরিচালন-নৈপুণ্যে চাকাপ্রকাশ’ ও ‘বিজ্ঞাপনী একটা বিশিষ্ট মৰ্য্যা লাভ করিতে সমর্থ হয়। ঢাকার সংবাদপত্র প্রসঙ্গে কলিকাতার ‘সংবাদ পূর্ণচন্ত্রোদয়’ ( ১৯ এপ্রিল ১৮৬৫) লিখিয়াছিলেন – কলিকাতায় যে যে বাঙ্গল সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ হইয়া থাকে ঢাকার বিজ্ঞাপনী ও ঢাকাপ্রকাশ ইহার কাহার দ্বিতীয় নহে । ঢাকায় কবি এবং সম্পাদক-রূপে সুপ্রতিষ্ঠিত কৃষ্ণচন্দ্রের জীবনযাত্র স্বল্প আয় সত্ত্বেও সহজ এবং স্বচ্ছনভাবে নির্বাঞ্ছিত হুইতেছিল, কিন্তু শেষ পৰ্য্যন্ত সঙ্গদোকে সুরাপানে আসক্ত হইয়। তিনি নিজের সর্বনাশ নিজে ডাকিয়া আনিলেন, কৰ্ম্মচ্যুত হইয়া সপরিবারে মহা বিপত্তিতে * পড়িলেন। র্তাহার নিজের উক্তিতে র্তাহার অদ্ভুতাপদগ্ধ অস্তরের বেদন বড় মৰ্ম্মস্পর্শী ভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে :– - দেশেও তখন মুরার বড়ই প্রকোপ ; বড়-লেঞ্চের চিহ্ন ছিল তখন—রোপাম। ভাগ্য-দোষে, মতিহীন আমি, আমিও তাহাতে মজিয়াছিলাম ...আর, তাহাতেই আমার সৰ্ব্বনাশ ! শেষ, ইহাতেই, ঝগড়া করিয়া আমার কাজ যায় ; আমি পরিবারাদি লইয়া বাড়ী চলিয়া ভাগি ।...কর্ণ ছাড়িয়া, এইরূপে, জামি কেবলই