পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনাবলী 33 ও পরম স্বন্দরী এবং নানা বেশ ভূযায় ভূষিতা। যেমন নক্ষত্রমণ্ডলের মধ্যে চক্সের শোক্ত হয়, সখীমওলের মধ্যে রাজস্থতি সেইৰূপ স্বশাভিত হই ৰাইতেন। সকল লোই উহাকে । দেখিতে বাগ্র হইত বিশেষতঃ তাহার রূপের এমত যশোবুদ্ধি হইয়াছিল যে, মৃগয়া-গমনকালে তাহাকে দর্শন করিবার জন্য পথিমধ্যে লোকারণ্য হইত। তাহারা তাহার লাবণ্য-দর্শনে নানাপ্রকার প্রশংসা করিয়া যথোচিত মনের আনন্দ প্রকাশ করিত, এবং সকলে নিকটে যাইবার জন্য বাগ্র হইত, তাহাতে অশ্বারোহী খড়গধারী নপুংসক বৃক্ষকগণ জনতা-নিবারণ-ছলে কাহাকে অস্ত্রাঘাত ও কাহাকেও সংহার করিত। দর্শকগণ ইহাতেও ভৗত না হইয়া সেইরূপ জিনতা করিয়া থাকিত, এবং তাহাম্বের ব্যগ্রতা দেখিয়া এমত বোধ হইত যেন রাজকপ্তার সম্মুখে প্রাণত্যাগ করে ইহাই তাহদের বাসনা।” (পৃ. ১-২ ) পারস্য উপন্যাস' সমালোচনাকালে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ‘সংবাদ প্রভাকরে’ (৮ সেপ্টেম্বর ১৮৫৬ ) লিখিয়াছিলেন :– - “পাতুরিয়াঘাট নিবাসি বহুগুণসম্পন্ন শ্ৰীযুত বাৰু নীলমণি বশাখ মহাশয়ের মুবাদিত পারস্ত উপন্যাস নামক পুস্তক বহু দিবস হইল আমরা প্রাপ্ত হইয়াছি ঐ পুস্তক প্রথমতঃ তিনি কবিতাছন্দে অহুবাদ করেন, এইক্ষণে তাহা গদ্যে প্রকটন করিয়াছেন, ইদানিন্তন প্রকাশিত প্রায় তাবৎ পুস্তকেই এক এক বিষয়ে এক এক দোষ দৃষ্ট হয়, কোন পুস্তকই সৰ্ব্ব বিধায়ে উৎকৃষ্ট দৃষ্টি করা যায় না, কিন্তু বাৰু নীলমণি বশাখ মহাশয় আরব্য উপাখ্যান, নৰনারী, বত্রিশ সিংহাসন প্রভৃতি যে যে পুস্তক প্রকটন করিয়াছেন ততাবতই অতি