পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীশিক্ষা-বিস্তার ዓ\\ আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করিতে হয়, তাহা হইলে স্ত্রীশিক্ষার প্রচারে কি নিরুৎসাহের ভাবই না আসিয়া পড়িবে ?” ছোট লাট ডিরেক্টরের অনুরোধ-পত্র সমর্থন করিয়া এবং “সংস্কৃত কলেজের অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও কৃতী অধ্যক্ষের আড়ম্বরহীন উৎসাহের” কথা উল্লেখ করিয়া ভারত-সরকারকে ব্যাপারটা পুনরায় বিবেচনা করিতে অরুরোধ করিলেন ( ২২ জুলাই ১৮৫৮)। সরকার পণ্ডিতের উপর সুবিচার করেন নাই এবং সরকারের কাজে যে আর্থিক দায়িত্ব তিনি নিজে লইয়াছিলেন, সে দায়িত্ব র্তাহার ঘাড়েই পড়িয়াছিল, সরকার তাহা পরিশোধ করিতে অস্বীকৃত হন—এই গল্প বিদ্যাসাগরের জীবনী-লেখকগণই বানাইয়াছেন । ভারত-সরকারের ২২ ডিসেম্বর ১৮৫৮ তারিখের পত্রে এ-সম্বন্ধে শেষ আদেশ প্রদত্ত হয় । বালিকা-বিদ্যালয় স্থাপন করিতে বিদ্যাসাগর যে ব্যয় করিয়াছিলেন, সেই টাকা যে সমস্তই পরিশোধ করা হইয়াছিল, এই পত্রই তাহার নিশ্চিত প্রমাণ । ভারত-সরকার লিখিতেছেন,— “দেখা যাইতেছে, পণ্ডিত আস্তরিক বিশ্বাসের বশবৰ্ত্তী হইয়াই এ কাজ করিয়াছেন, এবং এ কাজ করিতে উচ্চতম কৰ্ম্মচারীদের উৎসাহ এবং সম্মতিও তিনি পাইয়াছেন। এই সকল কথা বিবেচনা করিয়া, এই বিদ্যালয়গুলিতে যে ৩৪৩৯g৫ প্রকৃতপক্ষে ব্যয় হইয়াছে, সেই টাকার দায় হইতে সপরিষদ বড় লাট তাহাকে মুক্ত করিতেছেন। সরকার এ টাকা দিবেন, ইহাই তাহার আদেশ । পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র-প্রতিষ্ঠিত বালিক-বিদ্যালয়গুলির, অথবা সেগুলির পরিবর্তে প্রস্তাবিত সরকারী বিদ্যালয়গুলির বায়নিৰ্বাহাৰ্থ কোন স্থায়ী অর্থসাহায্য করিতে কাউন্সিলের সভাপতি সম্পূর্ণ অনিচ্ছুক। সমস্ত চিঠিপত্র বিবেচনার্থ সেক্রেটরী অফ ষ্টেটের নিকট