পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রকৃত সুযোগ। এই সঙ্কল্পের মূলে যে সকল কারণ আছে, তাহা ব্যক্তিগত—সাধারণের সহিত তাহার কোন সম্বন্ধ নাই, সুতরাং সেগুলি বিবৃত করিতে বিরত হইলাম।” ( ২৯ আগষ্ট ১৮৫৭) হালিডেও যাহতে এই সংবাদ জানিতে পারেন, তজ্জন্ত বিদ্যাসাগর র্তাহাকেও এই পত্রের এক প্রতিলিপি পাঠাইলেন বিদ্যাসাগরের সঙ্কয়ের কথা পাঠ করিয়া হালিডে তৎক্ষণাৎ তাহফে লিখিলেন,— “প্রিয় পণ্ডিত, তোমার অভিপ্রায় অবগত হইয়া আমি সত্যসত্যই অত্যন্ত দুঃখিত হইয়াছি। বৃহস্পতিবার আমার সহিত দেখা করিতে আসিবে এবং জানাইবে, কেন তুমি এ সঙ্কল্প করিয়াছ।” (৩১ আগষ্ট) দক্ষ কৰ্ম্মচারীরা কাজ ছাড়িয়া দেয়, ইহা হালিডের কাছে কখনই রুচিকর ছিল না। তিনি পণ্ডিতকে হঠাৎ কিছু না করিতে অনুরোধ করিলেন। বিদ্যাসাগরও সম্মত হইলেন। যদিও তাহার ইচ্ছা ছিল না তবুও তিনি আর এক বৎসর ঐ পদে কাজ করিতে লাগিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য ভাঙিতে মুরু হওয়ায় তিনি ৫ আগষ্ট ১৮৫৮ তারিখে ডিরেক্টরের কাছে কৰ্ম্মত্যাগ-পত্র পাঠাইলেন,-- "বাণী কর্তব্যপালনে অবিরত মানসিক পরিশ্রম করিতে হইয়াছে। তাহাতে আমার এমন গুরুতর স্বাস্থ্যভঙ্গ হইয়াছে যে, বাংলার ছোট লাট বাহাদুরের নিকট আমার পদত্যাগ-পত্র দাখিল করিতে বাধ্য হইলাম । আমি মনে করি, আমার কর্তব্যপালনে যে অবিশ্রাস্ত মনোযোগের প্রয়োজন, তাহা আমি আর দিতে পারিব । আমার বিশ্রামের দরকার। সাধারণের স্বার্থের খাতিরে (২২ নিজের সুখস্বাচ্ছন্যের প্রয়োজনে সরকারী কাজ হইতে অবসর গ্রহণ করিলে সেই বিপ্রাম পাইতে পারি।

ينة: