পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দয়া-দক্ষিণ্য ఫిఫి কার্য্যে নিযুক্ত করিয়াছেন, তাহারা সরল পথে চলেন না। এই ফাগুর সহিত আর সংযুক্ত থাকিলে ভবিষ্যতে আমাকে দুর্নামের ভাগী হইতে হইবে এবং ঈশ্বরের কাছেও জবাবদিহি করিতে হইবে। এই ভয়ে অত্যন্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও এবং অত্যন্ত দুঃখের সহিত এই ফণ্ডের সহিত আমার সকল সম্পর্ক ত্যাগ করিতেছি।” দয়া-দাক্ষিণ্য দরিদ্র এবং আর্কের সহায়, দয়ালু দাতা এবং জনহিতৈষিরুপে বিদ্যাসাগরের তুলনা নাই। এই মহাগুণের জন্য আজ তিনি প্রাতঃস্মরণীয়। কাহাকেও বিপন্ন দেখিলেই তাহার প্রাণ র্কাদিয়া উঠিত এবং লোকের দুঃখ দূর করিবার জন্য তিনি প্রাণপণ চেষ্টা করিতেন। আজও তিনি দেশবাসীর নিকট “দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর” নামে পরিচিত। দুঃস্থ এবং অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাহাধ্য করিতে র্তাহার আয়ের অধিকাংশই ব্যয়িত হইত। র্তাহার সাহায্যেই বহু দরিদ্র বিধবার সংসার চলিত। শত শত অনাথ বালকের প্রতিপালন ও শিক্ষার ভার তিনি নিজের স্বন্ধে গ্রহণ করিয়াছিলেন। গৃহে গৃহে তাহার নাম শ্রদ্ধাভরে উচ্চারিত হইত। ধনি-দরিদ্রনির্বিবশেষে সকলেই তাহাকে ভালবাসিত। শুধু বন্ধু এবং সহকৰ্ম্মীরাই নয়, তাহার বিরুদ্ধবাদীরাও তাহাকে শ্রদ্ধা করিত। তাহার সাহস ছিল অতুলনীয় এবং দক্ষিণ্য অপূৰ্ব্ব। অথচ তিনি নিজে নিতান্ত সরল জীবন যাপন করিতেন। এই তেজস্বী দানবীর সরল ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের কাছে বড় বড় জমিদারের মাথা আপনি নত হইয়া পড়িত।