পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গালয়ে স্বর্ণলতা তারকনাথের জীবিতকালে কলিকাতার সাধারণ-রঙ্গালয়ে ‘স্বর্ণলতা’র নাট্য-রূপ ‘সরলা’ প্রদর্শিত হয় । ‘স্বর্ণলতা’র প্রথমাংশ অবলম্বন করিয়া রসরাজ অমৃতলাল বস্তু এই নাট্য-রূপ রচনা করেন । ষ্টার থিয়েটার কর্তৃক ‘সরলা’র প্রথম অভিনয় হয়—১৮৮৮ খ্ৰীষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে । প্রথমাভিনয় দেখিয়া সেকালের পাক্ষিক ‘অনুসন্ধান’ ৩০ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮ তারিখের পত্রে যে মন্তব্য করিয়াছিলেন, তাহা হইতে বুঝা যায়, অভিনয় কিরূপ হৃদয়গ্রাহী হইয়াছিল। “অনুসন্ধান’ লেখেন :– “ষ্টার থিয়েটারে ‘সরলা’ —শুভক্ষণে শ্রদ্ধাস্পদ ত্রযুক্ত অক্ষয়চন্দ্র সরকার মহাশয় নাটকালোচনায় লেখনী ধারণ করিয়াছিলেন । এত দিনে আমাদের আশা ফলবতী হইবার স্থত্রপাত হইল । ষ্টার কোম্পানীও সময় বুঝিয়া—লোকের রুচির প্রতি লক্ষ্য করিয়া নাটকচিত্রের উৎকর্ষ দেখাইতে অগ্রসর হইলেন । কোম্পানীর সুযোগ্য অধ্যক্ষ শ্ৰীযুত অমৃতলাল বসু মহাশয়কেও ধন্যবাদ না দিয়া থাকা যায় না ; সুপ্রসিদ্ধ ‘স্বর্ণলতা’ উপন্যাস হইতে তিনি বেশ দক্ষতার সহিত ‘সরলা”-চরিত্র নাটকাকারে প্রবৰ্ত্তিত করিয়াছেন । ধৰ্ম্মের ঢেউ, হরিবোলের ধুম এখন কিছু মনীভূত হইতে চলিল। যে অভিনয় দর্শনে আত্মহারা হইয়া অন্ততঃ কিছুক্ষণের জন্যও মন তন্ময়ত্বভাবে বিভোর হয়, যাহা দেখিয়া যুগপৎ বিস্ময়, হর্ষ, শোক, ক্রোধ, বীভৎস প্রভৃতি রসের আবির্ভাব হইয় থাকে, সেই ত অভিনয়, সেই ত নাট্যচিত্র। উপস্থিত ‘সরলা’ নাটকের অভিনয় দেখিয়া আমরা সে আশার সম্পূর্ণরূপে চরিতার্থ করিয়াছি । ইহার কাহাকে ফেলিয়া কাহাকে মুখ্যাতি করিব ? সেই হিংস্র-বিষপূর্ণ