পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্নীবিয়োগ ; মৃত্যু 「& 。 করিবার নিমিত্ত তারকনাথ পুনরায় সুরার আশ্রয় গ্রহণ করিলেন ।” ( ইন্দুপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় : বঙ্গসাহিত্যের এক পৃষ্ঠা’, ১৩১৪ সাল, *]. ts) ১৮৯১ খ্ৰীষ্টাব্দের ২২এ সেপ্টেম্বর তারিখে পক্ষাঘাত রোগে তারকনাথের মৃত্যু হয়। বক্সারের বিখ্যাত রামরেখাঘাটে তাহার নশ্বর দেহ বিলীন হইয়াছে । তারকনাথ সদাপ্রফুল্ল, বিনয়ী ও মিষ্টভাষী ছিলেন—সৰ্ব্বোপরি ছিলেন রহস্যপটু। প্রভাতকুমার লিখিয়াছেন :– “চল্লিশ বৎসর বয়সের পূৰ্ব্বে তাহার স্ত্রী-বিয়োগ ঘটিয়াছিল, কিন্তু তিনি দ্বিতীয় বার দারপরিগ্রহ করেন নাই । কেহ এ বিষয়ে অনুরোধ করিলে বলিতেন—“ক্ষেপেছ ; বুড়ে বয়সে কি মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ তৈয়ারি ক’রে যাব ?” মুগ্ধবোধ ব্যাকরণটা কি রকম, জিজ্ঞাসা করিলে হাসিয়া আওড়াইতেন :– মুকুন্দং সচ্চিদানন্দং প্ৰণিপত্য প্রণীয়তে । মুগ্ধবোধং ব্যাকরণং পরোপকৃতয়ে ময় ॥ তিনি বড় বড় গবর্ণমেণ্টের কৰ্ম্মচারী অপেক্ষ সামান্য বেতনভোগী কেরাণী প্রভৃতির প্রতি সমধিক অনুরক্ত থাকিতেন । বলিতেন, “ডেপুটি, মুনসিফ, সবজজ প্রভৃতি শ্রেণীর লোক বড় অহঙ্কার । ‘হরিষে বিষাদে ডাক্তার বাবুর বাটীতে নিমন্ত্রিতা মহিলা-মহলে এক কোন্দল বাধিয়াছে । মুনসিফ বাবুর স্ত্রী বলিতেছেন,-ডেপুটি আবার হাকিম ; আরমুলা আবার পাখী—অ! আমার পোড়া কপাল !” ( ‘দাসী’, আগষ্ট ১৮৯৬ )।