পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কামিনী রায় ও বাংলা-সাহিত্য উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্দ্ধে ষে-কয়জন মহিলা-কবি বাংলা-সাহিত্যে প্রতিষ্ঠা অর্জন করিয়াছিলেন, কবি কামিনী রায়ের স্থান তাহাদের মধ্যে নিঃসংশয়ে শ্রেষ্ঠ স্বাভাবিক প্রতিভার সহিত উচ্চশিক্ষার সংযোগ ঘটাতেই তাহার রচনা মজ্জিত ও শিল্পসুষমামণ্ডিত হইবার অবকাশ পাইয়াছিল । গত শতাব্দীর শেষ পদে ‘আলো ও ছায়া’-রচয়িত্রী বাংলাসাহিত্য-সমাজে কি পরিমাণ প্রভাব বিস্তার করিয়াছিলেন, আজ আমরা তাহা অতুমান করিতে পারিব না । কবিবর হেমচন্দ্ৰ-লিখিত ‘আলো ও ছায়া’র ভূমিকাতেই সাহিত্যরসিকদের তৎকালীন হৰ্ষ-বিস্ময়ের কিঞ্চি ২ পরিচয় মিলিবে । “আঁধারের কীটপু আমরা দু-দণ্ড আঁধারে করি খেলা, অন্ধকারে ভেঙে যায় হাট, জীবন ও মরণের মেলা ,” অথব! “পরের কারণে স্বাৰ্থ দিয়া বলি, এ জীবন মন সকলি দাও, তার মত সুখ কোথাও কি আছে ? আপনার কথ। ভুলিয়া যাও” । বাঙালী নারীকণ্ঠে এই সরল মধুর ও বিচিত্র সুর রবীন্দ্র-প্রতিভার নব-অভু্যদয়-যুগে বিস্ময়কর ঠেকিবার কথাই। “চন্দ্র-পীড়ের জাগরণ,” “মহাশ্বেত,” “পুণ্ডরীক” প্রভৃতি সংস্কৃত সাহিত্য হইতে গৃহীত চরিত্রবিষয়ক কবিতাও বাংলা কাব্য-সাহিত্যে অভিনবত্ব সঞ্চার করিয়াছিল । দুঃখের বিষয়, কবি কামিনী রায় ষে সুবিপুল সম্ভাবনার মধ্যে র্তাহার