পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কামিনী রায় ও বাংলা-সাহিত্য 总穹 ভেঙ্গেছে যা ছিল স্থল মৃত্যুর প্রহার ; ক্ষুদ্র হতে, ক্ষোভ হ’তে করি পরিত্রাণ রেখে গেছে পাশাপাশি দুটি দীপ্ত প্রাণ, সুখের ভোগের সাধ করি ভস্মসার । এত দিনে হ’লে তুমি নিত্য সহচর, সকল চিস্তার মোর, সকল চেষ্টার সমভাগী, সমবার্থী ; দেহ তেয়াগিয়৷ আমার হৃদয়পুরে বাধিয়াছ ঘর । তাই স্তৃপাকার ভ্রম, আঁধারের ভার সরিতেছে, শান্তিউষ উঠিছে জাগিয়া । প্রিয়তম, বিচ্ছেদের আছে অবসান, হেথায় পেয়েছি বহু তার পূৰ্ব্বাভাস । তৰু কছু ঢাকি আঁখি করি আবিশ্বাস, না শুনি অস্তুরবাণী ; জ্ঞান, সন্দিহান, সত্যেরে কল্পনা বলি করে প্রভ {{খ্যান । একদিন নিশ্চয় সে হঠবে প্রকাশ সন্দেহু অতীতরূপে । দেহ হলে নাশ আত্মা পাবে দৃষ্টি নব—মণের দান । আজ অশ্রু-আবরিত ক্ষীণ দৃষ্টি লয়ে সেই সুদিনের তরে চেয়ে আছি পথ । মোর দীর্ঘ তপস্তায় করুণাঞ্জ হয়ে দেবতা করুন পূর্ণ এই মনোরথ— সেবি এই ধরণীরে, সুখ দুঃখে ভরা, লোকাস্তরে হই তব সখী যোগ্যতর । অক্ষয় প্রদীপ তব কাছে, হে অনন্ত, দূর কাছে নাই, জনম মরণ ঠেলি বাড়াইলে হাত