পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য ও সমাজ-সেবা )○ বাটতে থাকিয়া আমি ঐরূপ স্বপ্ন দেখিয়াছিলাম। তখন আমার বয়স উনিশ বৎসর পূর্ণ হয় নাই—সাড়ে আঠারো ” সাহিত্য ও সমাজ-সেবা বিধবা হইবার পর সংসারের নিত্যনৈমিত্তিক কার্য্যে মানকুমারীর মন বসিত না ; তিনি শেষে কবিত্বশক্তির অনুশীলনে ও সমাজ-সেবায়ু আত্মনিয়োগ করেন । তিনি লিথিয়াছেন :– “অতি বাল্যকাল হইতে আমার প্রকৃতি এইরূপ হইয়াছিল যে, কোনরূপ সুখ-দুঃখাদি কর্তৃক আমার মন একটু উত্তেজিত হইলে আমার একটি কবিতা হইত । এষ্ট কবিতা প্রায়ই পদ্য, সময়ান্তরে গদ্য কবিতাও লিখিতাম । আমি যখন সেই তরুণ বয়সে নিদারুণ পতিশোক প্রাপ্ত হইলাম, তখন যেন আমার হৃদয় পিষিয়া কবিত্বশক্তি সকল বাহির হইতে লাগিল। এই শোকোম্মাদ অবস্থায় আমার গদ্যকাব্য প্রিয় প্রসঙ্গ’ রচিত হইয়াছিল। উহা কেবল নিজের মনকে সাত্বনা দিবার জন্যই লিখিতাম । বাহিরে প্রকাশ করিবার জন্য কোন চিন্তা করি নাই । আমার একজন কৃতবিদ্য আত্মীয় তাহার স্ত্রীর নিকট হইতে ঐ হস্তলিপি দেখিতে পান, এবং উহা ছাপাইলে বিধবা রমণীগণের একটা সাস্থনার জিনিস হইবে এইরূপ পরামর্শ দেন। আমার স্বগীয় পতিদেবের একটি স্মৃতি রক্ষ হইবে, ইহ মনে করিয়া উহা পুস্তকাকারে প্রকাশ করিতে আমি একান্ত উৎসুক হই । আমার স্বামীর পরলোক গমনাস্তে আমার আত্মীয়গণ, তাহার কিছু অর্থ আমাকে আনিয়া দিয়াছিলেন, আমি সেই অর্থ দিয়া আত্মীয়ের নিকটে উহার মুদ্রাঙ্কনের ভার প্রদান করি । পুস্তকে আমার নাম এবং পরিচয় দিতে নিষেধ করি । এই