পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 。 বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর পাচটায়ু খাইত, এইরূপ অনিয়ম হওয়াতে পুনরায় কানের যন্ত্রণ খুব বাড়িয় উঠে । সে যখন শিলাইদহে, তখন একদিন স্বপ্নে দেখিলাম যে, বলু আমার কাছে দাড়াইয়া বলিতেছে, “ম, আমার শরীর ভাল নাই ।” ইহার পর আমার মন তাহার জন্ত আর ৪ অধিক অস্থির হইতে লাগিল। আমি সাহানাকে লিখিলাম যে, তাহণকে আমার কাছে শীঘ্ৰ পঠাইয়; দাও, আমি এই রূপ স্বপ্ন দেখিয়াছি । সে যখন ফিরিয়া আসিল তখন তাহার শরীরের অবস্থা দেখিয়া আমার চিস্তার অবধি রহিল না, কিলে সে আ প্লাম হইবে এই কেবল ভাবিতে লাগিলাম । অঘোর ডাক্তার, উমাদাস বাড়ধ্যে, ডাক্তার সালজার এই তিন জনে BBBB BBBBB S BB BBBB BBBBSS SBBSSBBBB SBBBg কারণ নাই, ভাল হইয়া যাইবে, কিন্তু আমি কিছুতেই সে ভরসা পাইলাম ন। । বাড়ীর সকলে আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, আমি কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখাইতে চাই কি না, আমার তখন ভাবনা-চিস্তায় মনের এমন অবস্থা হইয়াছিল যে হিতাহিত জ্ঞান একেবারেই হারাইয়। ফেলিয়াছিলাম, কিছুই বলিতে পারিলাম না । তাহারাই তখন সাহেব ডাক্তারকে অনইয়া দেখান । বলুর অবস্থা ক্রমশঃই খারাপের দিকে যাইতে লাগিল । যে দিন সে জন্মের মত আমাকে তাহার বন্ধন হইতে মুক্ত করিয়া চলিয়া গেল, সেই দিন রবি (অামার ছোট দেওর) আসিয়া আমাকে বলিলেন যে, “তুমি একবার তার কাছে যা ৪, সে তোমাকে মা, মা করিয়া ডাকিতেছে।” আমি এক এক সময় তাহার যন্ত্রণ দেখিতে না পারিয়া পাশের ঘরে গিয়া বসিয়া থাকি তাম। রবির কথা শুনিয়। যখন তার কাছে গিয়া তার পাশে বসিলাম, তখন তাহার সব শেষ হইয়া আসিয়াছে । মনে হইল, আমাকে দেখিয়া চিনিতে পারিল, তাহার পর একবীর বমি করিয়া সব শেষ হইয়া গেল। তখন ভোর হইয়াছে। সূৰ্য্যদেব ধীরে ধীরে তাহার কিরণচ্ছটায় পৃথিবীকে সজীব করিয়া তুলিতেছিলেন, ঠিক সেই