পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

电 দেবেন্দ্রনাথ সেন ওকালতি দেবেন্দ্রনাথ ও তাহার অপর চারি ভ্রাতা—সকলেই কৃতবিদ্য ছিলেন । কর্মোপলক্ষে তাহারা যুক্ত-প্রদেশের স্থানে স্থানে বাস করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । দেবেন্দ্রনাথ বিদ্যালয়ের শিক্ষা সাঙ্গ করিয়া এলাহাবাদ হাইকোর্টে ওকালতিতে প্রবৃত্ত হন ( ৭ই ডিসেম্বর (8ה לל শ্ৰীকৃষ্ণ পাঠশালা প্রতিষ্ঠা ১৯০০ খ্ৰীষ্টাব্দে দেবেন্দ্রনাথ কলিকাতায় সামান্তভাবে ‘শ্ৰীকৃষ্ণ পাঠশালী’ ( পরে কমলা হাই স্কুল ) নামে একটি বিদ্যায়তনের প্রতিষ্ঠা করেন । এই সম্পর্কে তঁহাকে মাঝে মাঝে কলিকাতা আসিতে হইত । বিদ্যালয়টির পুষ্টিকল্পে তাহাকে চাদার খাতা লইয়া দ্বারে দ্বারে ঘুরিতে হইয়াছিল । শেষ পর্য্যন্ত তিনি কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন,—শ্ৰীকৃষ্ণ পাঠশালা একটি বৃহং প্রতিষ্ঠানে পরিণত হইয়াছিল। সাহিত্য-সেব * অল্প বয়স হইতেই সাহিত্যের প্রতি দেবেন্দ্রনাথের অনুরাগ ছিল । তিনি কবিতা লিখিতে ভালবাদিতেন । ১৮৮০-৮১ খ্ৰীষ্টাব্দে গাজিপুরে অবস্থানকালে তাহার তিনখানি ছোট কাব্য—‘ফুলবালা’, ‘উৰ্ম্মিল’ ও ‘নিঝরিণী' প্রকাশিত হয় । এগুলি সাময়িক-পত্রে প্রশংস"-লান্ড করিয়াছিল । উৎসাহিত হইয়া দেবেন্দ্রনাথ মাসিকপত্রের পৃষ্ঠায় আত্মপ্রকাশ করেন । তিনি র্ত হার স্মৃতিকথায় বলিয়াছেন – “প্রায় ত্রিশ বৎসর অতীত হইয়াছে—আমি তখন গাজিপুরে অবস্থান করি। একদিন শুনিলাম, কবিবর রবীন্দ্রনাথ গাজিপুরে আলিয়াছেন । রবিবাবু আমার ফুলবালা কাব্য ও উর্মিলা কাব্যের পক্ষপাতী ছিলেন ও