পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१३ দেবেন্দ্রনাথ সেন আমি সেই কবিতাটি লিখিয়াছিলাম ; দেখুন দেখি, আমাদের সমাজে কি নির্মম প্রথা !—ছেলে হইলে মহানন্দে শাখ বাজাইবে, আর মেয়ে হইলে সব চুপচাপ। যেন মেয়েরা সমাজের কেউ নয়, তাদের কোন মুল্য নাই। যত দিন না আমাদের সমাজ নারীজাতির সমুচিত মৰ্য্যাদা করিতে শিখিবে, তত দিন আমাদের প্রকৃত উন্নতির আশ বড় কম।” “মনীষামন্দিরে” ; কৃষ্ণবিহারী গুপ্ত-সঙ্কল্প', অগ্রহায়ণ, ১৩২১ । মৃত্যু স্বাস্থ্যহানি ঘটায় দেবেন্দ্রনাথ দেরাদুনে বাস করিতেছিলেন । তথায় ১৯২০ খ্ৰীষ্টাব্দের ২১এ নবেম্বর তাহার দেহান্তর ঘটিয়াছে। তাহার মৃত্যুতে মানসী ও মৰ্ম্মবাণী' ( পৌষ ১৩২৭ ) লিখিয়াছিলেন :–

  • আমরা গভীর দুঃখের সহিত প্রকাশ করিতেছি যে, কবিবর দেবেন্দ্রনাথ সেন মহাশয় বিগত ৬ই আগ্রহায়ণ তারিখে দেরাদুন শৈলাবাসে দেহত্যাগ করিয়াছেন। তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের উকীল ছিলেন, ইদানী কয়েক বৎসর হইতে ওকালতী ত্যাগ করিয়া, স্বাস্থ্যলাভের আশায় নানা স্বাস্থ্যকর স্থানে পৰ্য্যায়ক্রমে বসতি করিতেছিলেন। দেরাদুনে অনেক দিন ছিলেন। কলিকাতায় ‘শ্ৰীকৃষ্ণ পাঠশালা’ নামক বিদ্যালয় তাহারই স্থাপিত ; ঐ বিদ্যালয়ে নানারূপ গোলযোগ উপস্থিত হওয়ায়, কলিকাতায় আসিয়া বৎসরাধিক কাল অবস্থান করেন। পীড়িত হইয়া, পূজার পূৰ্ব্বে তিনি দেরাদুন চলিয়া যান, সেইখানেই তার মৃত্যু ঘটিয়াছে।”

দেলেভদ্রলপথ ও বাংলা-সাহিত্য দেবেন্দ্রনাথ সেন রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক । রবীন্দ্রনাথের প্রতিভার যখন সকলেই মুগ্ধ ও আত্মবিস্তুত, সেই যুগেও দেবেন্দ্রনাথ স্বকীয় স্বাতন্ত্র্য