পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$చ్చి সুরেশচন্দ্র সমাজপতি “আওতায়” না থাকিয়া, উপযুক্ত মালীদ্বারা সাহিত্য-উদ্যানের অপর এক পরিষ্কৃত স্থানে স্থানান্তরিত হইয়াছে।” ‘সাহিত্য’-সম্পাদক নবোদ্যমে পত্রিকা-সম্পাদনে ব্ৰতী হইলেন। তিনি ২য় বর্ষের ১ম সংখ্যায় (বৈশাখ ১২৯৮ ) সম্পাদন-প্রণালী সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছিলেন, তাহ উদ্ধৃত করা প্রয়োজন । তিনি লেখেন :– "আমাদের আর একটি উদ্ধেশ্ব,—প্রাচীন ও নবীন মতের সম্মিলন । এ সম্বন্ধে, কয়েকটি কথা বলিয় আমরা বিদায় হইব । কৰ্ত্তব্য কার্য্যের অনুরোধে আমাদিগকে অনেক সময়ে অনেকের বিরুদ্ধ মত প্রচার করিতে হয় । সামাজিক বা অন্য কোনও বিষয়ের আলোচনা স্থলে যদি কেহ স্ব স্ব মতের বিরুদ্ধ মতবাদ দেখিতে পান, আশা করি, সে জন্য আমাদের অপরাধী করিবেন না । নিরপেক্ষভাবে সকলের মতামত প্রকাশ করাই সম্পাদকের কৰ্ত্তব্য । এ বিষয়ে কোনও সম্পাদকই সম্প্রদায় ব! শ্রেণী-বিশেষের সঙ্কীণ গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ থাকিতে পারেন না । বল বাহুল্য যে, সম্পাদকের মতের বিরুদ্ধ হইলেও, যে কোনও আবশ্বকীয় বিষয়ের আলোচনা, সাহিত্যে’ প্রকাশিত হইবে। যহাতে সত্যের উন্মেষ বা বিকাশ হুইতে পারে, যাহাতে সমাজের বা সাহিত্যের উপকার আশা করা যায়, সাধারণের অপ্রীতিকর বা আমাদের মতের বিরুদ্ধ হইলেও, তাহার প্রচার করিতে আমরা কখনও কুষ্ঠিত হইব ন! ! এ জন্য যদি আমরা কাহার ও অপ্রীতিকর প্রসঙ্গের অবতারণা করি, আমাদের প্রার্থন এই, তাহার। যেন বিষয়ের গুরুত্ব বুঝিয়, আমাদের ক্ষমা করেন । বাঙ্গালার প্রতিভাশালী প্রবীণ আচার্যাগণের পদবীর অমুসরণ করিয়া, আমরা সাহিত্যসেবাত্রত গ্রহণ করিতেছি । সে কালের লেখক মহাশয়গণের অনুগ্রহে ও এ কালের নবীন লেখকগণের উৎসাহে, ‘সাহিত্য’ আমাদের জাতীয় ভাব-প্রবাহের সঙ্গম হউক ।