পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের সেবা : ఫి ও কৃতাৰ্থ করিবেন । বাঙ্গালী এই স্বারস্বত মন্দিরে সেই শুভদিনের প্রতীক্ষা করুন,—সারস্বত সাধনায় ধন্ত ও কৃতাৰ্থ হউন । এই ক্ষুদ্র মন্দির নব-ভারতের ভাবকেন্দ্ৰে—হোমশালায় পরিণত হউক । এই পবিত্র মন্দিরে ভারতবাসীর পথপ্রদর্শক বাঙ্গালী সেই মহাভাবের সাধন করুন,—কন্যাকুমারী হইতে তুষারকিরীর্ট হিমাচল পৰ্য্যস্ত সমগ্র ভারত সেই মহাভাবে অনুপ্রাণিত, উদ্বেলিত ও উচ্ছসিত হইয়। ॐक । বাঙ্গাল সাহিত্য নব-ভারতের ভাবগঙ্গার পবিত্র উৎস– গোমুখীর অমর নিঝরি । মাতৃমন্ত্রের ঋষি অমর বঙ্কিমচন্দ্রের যে ‘বন্দে মাতরম্ মহামন্ত্রে আজ ভারতভূমি মুখরিত প্রতিধ্বনিত হইতেছে, বাঙ্গালার সাহিত্য, বাঙ্গালীর ‘আনন্দমঠ তাহার মূল প্রস্রবণ ; বাঙ্গালী সে জন্তু আত্মপ্রসাদ, গৰ্ব্ব ও গৌরব অনুভব করিতে পারে – হে বঙ্গের সাধক ! বাণীর উপাসক ! সেই গৌরব অক্ষুণ্ণ রাখিবার বিপুল দায়িত্বও তোমার । তুমি যদি এই সাধনমন্দিরে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করিতে পার,—তাহ হইলে, বাঙ্গালীর এই গৌরব যাবচ্চন্দ্রদিবাকর জাজ্বল্যমান থাকিবে । আর্য্যবৰ্ত্ত আবার নব-গৌরবে উদ্ভাসিত, নিষ্কাম কৰ্ম্মযোগে প্রভাবিত, সত্য ও সুন্দরের মহিমায় অনুপ্রাণিত হইয় জগতের কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা ও বিশ্ববাসীর শ্রদ্ধা লাভ করিবে । কৰ্ম্মহীন, ধৰ্ম্মহীন, সত্যহীন ভারতবাসী জ্ঞানের, ধৰ্ম্মের ও সত্যের মহিমায় মণ্ডিত হইয়। আবার বিশ্বের বিরাটু-সভায় আপনার স্থান অধিকার করিবে । উনিশ বৎসর পূৰ্ব্বে যৌবনের প্রারম্ভে ‘সাহিত্যে’র স্বচনায় লিখিয়াছিলাম,—“জাতীয় জীবনের উন্নতি সাহিত্য-সাপেক্ষ ।” যাহ সত্য ও সুন্দর, তাহাই সাহিত্যের প্রাণ ! আজি যৌবনের শেষে নবভারতের স্বদেশী যুগে প্রত্যক্ষ প্রমাণে বুঝিয়াছি, সাহিত্য ভিন্ন অন্ত