পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুরেশচন্দ্র ও বাংলা-সাহিত্য २१ কঠোর পরিশ্রম করিয়া ভূদেব যে অর্থরাশির উপার্জন করিয়াছিলেন,— এবং তাহার “পারিবারিক প্রবন্ধে” “অর্থসঞ্চয়” ও মিতব্যয়িত সম্বন্ধে যে উপদেশ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, নিজের জীবনে তাহার অনুশীলন করিয়া যে সফলতা লাভ করিয়াছিলেন,—তাহার প্রায় সমুদায়—দেড় লক্ষেরও অধিক টাকা, সংস্কৃত ও বঙ্গভাষার, হিন্দু শাস্ত্রের ও অধ্যাপকবর্গের উন্নতির জন্ত দান করিয়া গিয়াছেন । মনে করিয়া দেখ, গরীব ব্রাহ্মণের সন্তান,—চিরজীবনের কঠোরপরিশ্রমলব্ধ অর্থ কিরূপে ব্যয়িত করিলেন। ভূদেব যদি আর কিছুও না করিতেন—কেবল এই এক সাত্ত্বিক নিষ্কাম দানে তাহার নাম বঙ্গদেশে দেদীপ্যমান ও চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিত । বদান্ত ভূদেবের দানশীলতা বাঙ্গালীর আদর্শ হইয়া থাকুক । ভূদেবের জীবন-তত্ত্বের অমুশীলনে ও অমুসরণে, বাঙ্গালীর সঙ্কীর্ণ জীবন প্রশস্ত ও পবিত্র হউক —( 'সাহিত্য’, জ্যৈষ্ঠ ১৩০১ ) রামেন্দ্রসুন্দর ।—গত ২৩শে জ্যৈষ্ঠ শুক্রবার রাত্রি দশটার সময় মনীষী, মনস্বী, যশস্বী, রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী ইছলোক ত্যাগ করিয়াছেন। মর মন্দিরের ঘৃত-প্রদীপ সহসা নিবিয়া গেল ! দেশবাসীর মনে শোকের অন্ধকার ; সাহিত্যের তপোবনে বিষাদের ছায়া । সাহিত্য-দেবতার পবিত্র মন্দিরে যে কয়টি দীপে পঞ্চপ্রদীপ সাজাইয়া আমরা মায়ের আরতি করিতাম, সেই পঞ্চপ্রদীপের উজ্জল মধ্য-দীপ রামেন্দ্রসুন্দর বাঙ্গালার সারস্বত মন্দির অন্ধকার করিয়া অকালে আলোর সাগরে অস্তমিত হইলেন। বাঙ্গালীর দুর্ভাগ্য শোচনীয়। আমাদের দুর্ভাগ্য আরও শোচনীয় । রামেন্দ্রসুন্দর সমগ্র বাঙ্গালার ও সমগ্র বাঙ্গালীর আত্মীয় ছিলেন, কিন্তু কৰ্ম্মক্ষেত্রে যে কয় জন ভাগ্যবানের মধ্যে তিনি আপনাকে বিলাইয়া দিয়া তাহাদিগকে কৃতাৰ্থ করিয়াছিলেন, আমি তাছাদের অষ্ঠতম। আমার প্রথম পরিচয়ের প্রতি ভক্তিতে, এবং সেই