পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যেন্দ্রনাথ ও বাংলা-সাহিত্য * 。 এই সেই কাশী—ভারতবাসীর হৃদয়ের রাজধানী, এই বারাণসী জাগ্রত-চোখে স্বপন মিলায় আনি । এই পথ দিয়া ভীষ্ম গেছেন ভারত-ধুরন্ধর,— কাশী-নরেশের কন‍্যারা যবে হইল স্বয়ম্বর । সত্য পালিতে হরিশ্চন্দ্র এই কাশীধামে, হায়, পুত্র জায়ায় বিক্রয় করি’ বিকাইল আপনায় । তেজের মূৰ্ত্তি বিশ্বামিত্র সাধনায় করি জয়— হেথা লভিলেন তিনটি বিদ্যা,—সৃষ্টি, পালন, লয় : বিদ্যায় যিনি জ্যোতির পুঞ্জ করিলেন সমাহার,– নূতন স্বর্গ করিলেন যিনি আপনি আবিষ্কার । শুদ্ধোদনের স্নেহের দুলাল ত্যজিয়া সিংহাসন করুণা-ধৰ্ম্ম হেথায় প্রথম করিল প্রবর্তন | এই বারাণসী কোশল দেবীর বিবাহের যৌতুক,— দেখিতেছি যেন বিম্বিসারের বিস্মিত স্মিতমুখ! নৃপতি অশোকে দেখিতেছি চোখে বিহারের পইঠায়, শ্রমণগণের আশীৰ্ব্বচনে প্রাণ মন উথলায় ! সমুখে হাজার স্থপতি মিলিয়া গড়িছে বিরাট স্তূপ, শত ভাস্কর রচে বুদ্ধের শত জনমের রূপ । চিক্কণ চারু শিলার ললাটে লিখিছে শিল্পজীবী ধৰ্ম্মাশোকের মৈত্রীকরুণ অনুশাসনের লিপি ! মহাচীন হ’তে ভক্ত এসেছে মৃগদাব-সারনাথে,— স্তূপের গাত্র চিত্র করিছে স্বচ্ছ সোনার পাতে। জয় ! জয় ! জয় কাশী । তুমি এসিয়ার হৃদয়-কেন্দ্র,—মূৰ্ত্ত ভকতি রাশি !